
দেশের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সূচক ও লেনদেন দুই ক্ষেত্রেই আরও উন্নতি হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই সূচক ও লেনদেন নতুন রেকর্ড ছুঁতে পারে।
এদিন লেনদেন শুরু হয় সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। এরপর কিছুটা ওঠানামা করলেও দুপুর পৌনে ১২টার পর সূচক নিম্নমুখী হতে থাকে। তবে সাড়ে ১২টার পর আবার ঘুরে দাঁড়ায় বাজার এবং দিনশেষে সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়ে যায়। একই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ে।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০.৬৯ পয়েন্ট। এর ফলে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৩১.৬১ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইএস সূচক ০.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩৩.৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ০.৭২ পয়েন্ট, যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৫.৮৩ পয়েন্টে।
লেনদেনের দিক থেকেও উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। আজ ডিএসইতে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬ লাখ টাকার।
আজ মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৮৪টির দর বেড়েছে, ১৬৫টির কমেছে এবং ৪৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেনেও উন্নতি হয়েছে। এদিন সিএসইতে ২১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
মোট ২৪২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭০.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২৩.৪৪ পয়েন্টে। আগেরদিন এই সূচক বেড়েছিল ৭৪.৪৭ পয়েন্ট।