
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং বাজারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, অবৈধ লেনদেন ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বিএসইসি বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠায় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে। এর পরপরই একজন উপ-পরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ ডিএসই-এর একজন ম্যানেজারকে অন্তর্ভুক্ত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটি যেসব অভিযোগ যাচাই করবে—
অবৈধ লেনদেন: আইনবহির্ভূতভাবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে কি না।
অপ্রকাশিত তহবিলের ব্যবহার: অর্থ পাচার বা অবৈধ ফান্ড ব্যবহারের প্রমাণ আছে কি না।
সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে লেনদেন: কোম্পানির পরিচালক বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্ট লেনদেন।
শেয়ারহোল্ডার পরিবর্তন ও বোর্ড নিয়োগ: এ প্রক্রিয়ায় সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ হয়েছে কি না।
ভেতরের তথ্য ব্যবহার: ইনসাইডার ট্রেডিং বা বাজার কারসাজি হয়েছে কি না।
কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড: কোম্পানিটি প্রযোজ্য নিয়ম-কানুন মেনে চলছে কি না।
বিএসইসি-এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রাথমিক অভিযোগ ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কমিশন পরবর্তী আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে।
তদন্তে প্রমাণ মিললে এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যা শেয়ারবাজারে একটি বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।