শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৩টি সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৩৮টি জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫ প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৮টির মুনাফা বেড়েছে, ২০টির মুনাফা কমেছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল, সেনা ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের মতো কিছু কোম্পানি উল্লেখযোগ্য হারে ইপিএস বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। অন্যদিকে প্রভাতী, ঢাকা ও মেঘনার মতো কিছু কোম্পানির আয় কমেছে।
মুনাফা বেড়েছে যেসব কোম্পানির
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ৮১ পয়সা। প্রবৃদ্ধি ২৫ পয়সা।
বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ পয়সা বেশি।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৯০ পয়সা, আগের বছর ছিল ৮৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ৫ পয়সা।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স
প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ৯৪ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ পয়সা বেশি।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৬৩ পয়সা, আগের বছর ৫৮ পয়সা। প্রবৃদ্ধি ৫ পয়সা।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩৪ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩৩ পয়সা।
গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর ছিল ৮০ পয়সা।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৮০ পয়সা, আগের বছর ছিল ৭২ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮ পয়সা।
পিপলস ইন্স্যুরেন্স
৬৩ পয়সা ইপিএস নিয়ে আগের বছরের তুলনায় ৯ পয়সার উন্নতি।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ১ টাকা ১৮ পয়সা, যা ৫ পয়সা বেশি আগের বছরের তুলনায়।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স
উল্লেখযোগ্যভাবে ইপিএস বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ২৭ পয়সা; গত বছর ছিল ১ টাকা ৯৬ পয়সা।
রূপালী ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ পয়সা বেশি।
সেনা ইন্স্যুরেন্স
সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে এখানে। ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা; গত বছর ছিল মাত্র ৯২ পয়সা।
সিকদার ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ পয়সা, বেড়েছে ২ পয়সা।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স
৬৯ পয়সা ইপিএস, আগের বছরের তুলনায় ২ পয়সা বৃদ্ধি।
তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৪০ পয়সা, যা ২ পয়সা বেড়েছে।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা; আগের বছর ছিল ৩৮ পয়সা। প্রবৃদ্ধি ৭ পয়সা।
ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স
৬৭ পয়সা ইপিএস, আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ১ পয়সা।
মুনাফা কমেছে যেসব কোম্পানির
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ১ টাকা ৩ পয়সা; আগের বছর ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। কমেছে ১৮ পয়সা।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৩৫ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ পয়সা কম।
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স
৪৩ পয়সা ইপিএস, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ পয়সা কমেছে।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
মাত্র ৫ পয়সা ইপিএস, গত বছর ছিল ২৪ পয়সা। কমেছে ১৯ পয়সা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৫০ পয়সা, কমেছে ২৫ পয়সা।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স
২৯ পয়সা ইপিএস, যা ২ পয়সা কম।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা; আগের বছর ছিল ৪৭ পয়সা।
ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ২২ পয়সা, আগের তুলনায় কমেছে ১০ পয়সা।
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স
৬২ পয়সা ইপিএস, ২ পয়সা কম।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৪২ পয়সা, কমেছে ৩ পয়সা।
মেঘনা ইন্স্যুরেন্স
৩৮ পয়সা ইপিএস, আগের তুলনায় কমেছে ২৯ পয়সা।
নিটল ইন্স্যুরেন্স
৩ পয়সা কমে ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা।
নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৬৫ পয়সা, আগের বছরের তুলনায় ৫ পয়সা কম।
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স
৯ পয়সা কমে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৯ পয়সায়।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ১ টাকা ৩৬ পয়সা, কমেছে ১৪ পয়সা।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা; আগের বছর ছিল ৫৫ পয়সা।
প্রগতী ইন্স্যুরেন্স
মাত্র ১ পয়সা কমে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সায়।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা, কমেছে ১৪ পয়সা।
রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স
ইপিএস ৪৭ পয়সা; গত বছর ছিল ৫৬ পয়সা।
পূরবী ইন্স্যুরেন্স
৯ পয়সা কমে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৩ পয়সায়।
বিনিয়োগ পরামর্শ:
সাধারণ বীমা খাতের মধ্যে সেনা, রিলায়েন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ও গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স তুলনামূলকভাবে ভালো ইপিএস প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, যা বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত হতে পারে। অন্যদিকে মেঘনা, দেশ, ঢাকা ও প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে লাভ কমার প্রবণতা থাকায় এগুলোর উপর নজরদারি এবং সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মূলত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের আগে ইপিএস ছাড়াও কোম্পানির প্রকৃত নেট প্রফিট, নগদ প্রবাহ এবং মার্কেট প্রাইস ট্রেন্ড মূল্যায়ন করা বাঞ্ছনীয়।
