ঢাকা   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

আনুপাতিক ভোট স্বৈরাচারকেই সহায়তা করবে: রিজভী

রাজনীতি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ৩ জুলাই ২০২৫

আনুপাতিক ভোট স্বৈরাচারকেই সহায়তা করবে: রিজভী

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) বা আনুপাতিক ভোট আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর ভাষায়, এতে স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে ওঠার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন রিজভী। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ’ স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

সেই অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে নানা কথা সামনে আনা হচ্ছে—আনুপাতিক ভোট। কেন আনুপাতিক ভোট? এটা তো এলাকার নেতৃত্ব গঠনের পথ রুদ্ধ করবে। কেউ যদি দীর্ঘদিন এলাকায় থেকে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতা হন, তাঁকেও তো তখন দলীয় সিদ্ধান্তে বাদ দেওয়া হতে পারে। এতে আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে যাওয়া হবে।’

বিএনপি চিরায়ত গণতন্ত্রের যে ভোট, সেই পদ্ধতি চেয়েছে—উল্লেখ করে রিজভি বলেন, ‘যাঁরা বৈধ ভোটার, তাঁরা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। যে দলের প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ভোট পাবে, তারাই সরকার গঠন করবে। ১৮ কোটি মানুষের দেশে যেখানে ১২ কোটি ভোটার, সেখানে কীভাবে আনুপাতিক ভোটের কথা বলা হচ্ছে—তা আমরা বুঝতে পারছি না।’


আওয়ামী লীগের মতো ‘রক্তপিপাসু’ দল যাতে আর ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য দরকার বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে হচ্ছে একে অপরের বিরুদ্ধে মুক্তভাবে সমালোচনা করা, ভিন্নমত প্রকাশ করা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজ নিজ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করবে। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে—এটাই হওয়া উচিত।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমাদের এমন আচরণ করতে হবে, যাতে কোনো সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে বিএনপি বা এর কোনো অঙ্গসংগঠনের নাম যাতে না জড়ায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী, জেলা ড্যাবের আহ্বায়ক মো. খালেকুজ্জামান বাদল, সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার, মহানগর ড্যাবের আহ্বায়ক নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায় ও সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম।