ঢাকা   সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

দেশে ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা জারি

দেশে ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা জারি

আগস্ট থেকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন, বাংলাদেশে একটি বড় মানের বন্যার আশঙ্কা করা যাচ্ছে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। বাংলাদেশে বর্ষাকালের প্রকৃত একটি বন্যার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২০২০ সালের পরে প্রকৃতপক্ষে দেশব্যাপী বড় কোনো বন্যা হয়নি। ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে ও ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে যে বন্যা হয়েছিল তা ছিল ফ্লাশ-ফ্লাড বা পাহাড়ি ঢল।

পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, বর্ষাকালের স্বাভাবিক বন্যা বলতে বুঝানো হয় ভারতের গঙ্গা নদী অববাহিকা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর মধ্যে প্রবেশ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলো প্লাবিত হওয়া। একইভাবে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়া।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক আরও লিখেছেন, আশঙ্কা করা যাচ্ছে ২০২০ সালের পরে ২০২৫ সালে পদ্মা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরবর্তী ২০ থেকে ৩০ জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার।
সম্ভাব্য এই বন্যাটি আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে  সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পদ্মা, যমুনা, তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী জেলাগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রমের আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আমি মনে-প্রাণে চাইবো আমার পূর্বাভাসটি ভুল প্রমাণিত হোক ও বাংলাদেশের মানুষ কোনো বড় মানের বন্যার সম্মুখীন না হোক।

এছাড়াও পোস্টের শেষদিকে ‘বিশেষ দ্রষ্টব্যের’ অংশে দেশে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কার সাপেক্ষে তথ্য প্রমাণসহ যুক্তি উপস্থাপন করে ‘আবহাওয়া ডট কম’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী একটি পোস্টের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে কমবেশি বন্যার মুখোমুখি হয়। তবে বর্ষাকালের প্রকৃত ‘মেজর ফ্লাড’ সাধারণত কয়েক বছর পরপর ফিরে আসে। যেমন ২০০৭, ২০১৭ এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে বড় ধরনের বন্যা হয়েছিল। এবার সেই চক্রে ফের ২০২৫ সালেই বড় বন্যা ফিরে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছে বৈজ্ঞানিক মডেল ও বিশ্লেষণ।