দেশে আবারও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পরিস্থিতি বিবেচনায় দীর্ঘ বিরতির পর হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে শুধু যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতেই পরীক্ষা চালু হবে।
আজ বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন। আইসিডিডিআরবির তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। কিন্তু মে মাসের শেষ সপ্তাহে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫-এ। গবেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে করোনার নতুন দুটি ধরন এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে। এ দুটিই ওমিক্রনের জেএন-১ উপধরন, যা তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রামক।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিট, পরীক্ষা সরঞ্জাম ও টিকা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল—এই তিনটি প্রধান হাসপাতালে বর্তমানে করোনা পরীক্ষার কোনো কিট নেই।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় করোনা পরীক্ষা চালু করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব এড়াতে এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। করোনার আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার ও জনগণকে একযোগে সচেতন হতে হবে।
