
কলম্বোর ড্রেসিংরুমে কে কার আগে ফিরবে তার প্রতিযোগিতাই যেন আজ শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তা না হলে ব্যাটিং ধ্বসে এভাবে প্রথম ওয়ানডেতে হারতে হতো না বাংলাদেশকে। এতে ৭৭ রানের হার দিয়ে শুরু হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্বের অধ্যায়।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু করেছিলেন লিটন দাস-মেহেদী হাসান মিরাজরা।
স্কোরবোর্ডে তাকালে বিষয়টি জলের মতো পরিস্কার হবে। ম্যাচে এতটাই ব্যাটিং ধ্বস নেমেছে যে একটা সময় রানেই চেয়েই উইকেট বেশি হারিয়েছে। কেননা ৬ রান যোগ করতে না করতেই যে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এত কম রানে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট আর কোনো দল হারায়নি।আগের বিব্রতকর রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল।অথচ, দলীয় এক শ রান পর্যন্ত ১ উইকেট ছিল বাংলাদেশের। সেই স্কোরই দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১০৫ রান।
শুরুটা হয় মন্দভাগ্যে। ২৩ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউটে। এরপর শুরু হয়ে লঙ্কানদের স্পিন ঘূর্ণি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আর কামিন্দু মেন্ডিসের বল মোকাবিলার কোনো উপায়ই যেন নেই লিটন-মিরাজদের। শুধু একে একে ফেরার মিছিলে যোগ দেন তারা।
বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটার আর জাকের আলি অনিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। তানজিদ তামিমের ৬২ রানের বিপরীতে আরেক ওপেনার অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন করেন ১৩ রান। আর শেষ দিকে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ৫১ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধানটুকুই শুধু কমিয়েছেন জাকের। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা।
এর আগে তাসকিন আহমেদ-তানজিম হাসান সাকিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা সহজই পেয়েছিল বাংলাদেশ। কেননা প্রতিপক্ষ ২৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল। এই রানটাও স্বাগতিকরা পেত না যদি সামনে থেকে দলের হাল না ধরতেন চরিত আসালাঙ্কা। এক প্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েছেন তিনি। ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব।