ঢাকা   মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

ভরা ডিভিডেন্ড মৌসুমেও উল্টো রথে শেয়ারবাজার

ভরা ডিভিডেন্ড মৌসুমেও উল্টো রথে শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজারের চিরাচরিত নিয়মের বিপরীতে গিয়ে ডিভিডেন্ড মৌসুমেও উল্টো হাওয়া বইছে। সাধারণত, ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময়কে কেন্দ্র করে বাজারে তেজিভাব আসে এবং সূচক ঘুরে দাঁড়ায়, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের প্রধান শেয়ারবাজার পতন দিয়ে লেনদেন শেষ করেছে। এই প্রবণতা বাজারের নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে—সকালের শুরুতে কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও দিনের শেষে তা পতনেই শেষ হচ্ছে।

এই আপাত-বিরোধী চিত্রের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা নতুন এক প্রবণতাকে চিহ্নিত করছেন। তাদের মতে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার এই সময়কে কাজে লাগিয়ে কিছু বিনিয়োগকারী 'নিটিং' (Netting) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এই কৌশল অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা দিনের শেষ বেলায় শেয়ার ক্রয় করে পরদিন লেনদেনের শুরুতে তা বিক্রি করে দ্রুত মুনাফা নিশ্চিত করছেন। এই প্রবণতা বৃদ্ধির কারণেই সূচকের পতন সত্ত্বেও টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


বাজার সংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা এই 'ডিভিডেন্ড মৌসুমের পতন'-এর মধ্যেও সতর্কতার সাথে লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং 'নিটিং' কৌশল প্রয়োগ করে মুনাফা অর্জন করছেন। তবে, এর পেছনে একটি প্রভাবশালী চক্রের ভূমিকাও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে, যারা নিজেদের স্বার্থে বাজারের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে ফায়দা হাসিল করছে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শুধুমাত্র ডিভিডেন্ডের প্রলোভনে না পড়ে কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা জরুরি।

মঙ্গলবারের বাজার চিত্র

আজকের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক, ডিএসইএক্স ২.৭২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৪.১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ১.৫৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭১.১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বৃহৎ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসই-৩০ ৪.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭৩.৫৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।

ডিএসইতে আজ মোট ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৯৯টির এবং ৬৬টির দর ছিল অপরিবর্তিত।


দিনের শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা, যা পূর্ববর্তী দিনের (৩৭৭ কোটি ১ লাখ টাকা) তুলনায় ৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বেশি। সূচকের পতন সত্ত্বেও লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায়, নিটিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা তোলার প্রবণতা বাড়ার ধারণাটি আরও শক্তিশালী হয়েছে।

এদিকে, অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। সিএসইতে আজ মোট ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৮৫.০৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৭০.৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৩টির এবং ২৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।

এই আপাত-বিরোধী চিত্রের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা নতুন এক প্রবণতাকে চিহ্নিত করছেন। তাদের মতে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার এই সময়কে কাজে লাগিয়ে কিছু বিনিয়োগকারী 'নিটিং' (Netting) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এই কৌশল অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা দিনের শেষ বেলায় শেয়ার ক্রয় করে পরদিন লেনদেনের শুরুতে তা বিক্রি করে দ্রুত মুনাফা নিশ্চিত করছেন। এই প্রবণতা বৃদ্ধির কারণেই সূচকের পতন সত্ত্বেও টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


বাজার সংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা এই 'ডিভিডেন্ড মৌসুমের পতন'-এর মধ্যেও সতর্কতার সাথে লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং 'নিটিং' কৌশল প্রয়োগ করে মুনাফা অর্জন করছেন। তবে, এর পেছনে একটি প্রভাবশালী চক্রের ভূমিকাও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে, যারা নিজেদের স্বার্থে বাজারের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে ফায়দা হাসিল করছে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শুধুমাত্র ডিভিডেন্ডের প্রলোভনে না পড়ে কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা জরুরি।

মঙ্গলবারের বাজার চিত্র

আজকের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক, ডিএসইএক্স ২.৭২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৪.১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ১.৫৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭১.১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বৃহৎ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসই-৩০ ৪.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭৩.৫৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।

ডিএসইতে আজ মোট ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৯৯টির এবং ৬৬টির দর ছিল অপরিবর্তিত।


দিনের শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা, যা পূর্ববর্তী দিনের (৩৭৭ কোটি ১ লাখ টাকা) তুলনায় ৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বেশি। সূচকের পতন সত্ত্বেও লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায়, নিটিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা তোলার প্রবণতা বাড়ার ধারণাটি আরও শক্তিশালী হয়েছে।

এদিকে, অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। সিএসইতে আজ মোট ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৮৫.০৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৭০.৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৩টির এবং ২৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।