ঢাকা   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

৮ কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ১০%–এর নিচে

৮ কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ১০%–এর নিচে

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার বর্তমানে ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনাকে লঙ্ঘন করেছে। যেখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যে আটটি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১০ শতাংশেরও কম শেয়ার রয়েছে, সেগুলো হলো: সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, ফুওয়াং ফুডস, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭.৬৭ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬.২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮৬.১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে বর্তমানে ৭.১০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে ১০.০৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮২.৮৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ফ্যামিলি টেক্স

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৪.০২ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ১৮.৪১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৭৭.৫৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ফু-ওয়াং ফুডস

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ৮.৭৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০১ শতাংশ বিদেশি এবং ৮৩.৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২০ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৫.৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ২৯.১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৮০ শতাংশ বিদেশি এবং ৬৪.১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

আইএফআসি ব্যাংক

ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯২ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৮টি। এর মধ্যে বর্তমানে ০.০০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ৩২.৭৫ শতাংশ সরকার, ২১.৩৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৬৩ শতাংশ বিদেশি এবং ৫.২৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

এসআইবিএল ব্যাংক

ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৪ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে বর্তমানে ১১.৬২ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৮.৬৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৮৭ শতাংশ বিদেশি এবং ১৮.৮২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ

ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি। এর মধ্যে বর্তমানে ০.১৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে ৭৪.৮২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১৭.৮৯ শতাংশ বিদেশি এবং ৭.১১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) এবং ইসলামী ব্যাংক—এই তিনটিতে আলোচিত শিল্পপতি এস আলম উদ্যোক্তা শেয়ার হিসাবে ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তার পরিচালক পদ বাতিল হওয়ায় তার শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারে পরিণত হয়েছে। যার কারণে এই তিনটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কমে গেছে। এছাড়া, এই তিন ব্যাংকে এস আলমের শেয়ার আদালত কর্তৃক জব্দ করা হয়েছে।