ঢাকা   মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

আরসিবিসির ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ গঠন

আরসিবিসির ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ গঠন

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ পাচারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করা হয়। ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম এবিএস-সিবিএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরসিবিসির অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন— ব্যাংকটির সাবেক ট্রেজারি ও রিটেইল ব্যাংকিং গ্রুপের প্রধান রাউল ভিক্টর তান, ন্যাশনাল সেলস পরিচালক ইসমাইল রেয়েস, রিজিওনাল সেলস পরিচালক ব্রিজেত কাপিনা, ডিস্ট্রিক্ট সেলস পরিচালক নেস্টর পিনেদা, কাস্টমার সার্ভিসের প্রধান রোমল্ডো আগারাদো ও সাবেক সিনিয়র কাস্টমার রিলেশন কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলা রুথ তোরেস। ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে আগারাদো ও তোরেস ব্যাংকটির জুপিটার স্ট্রিটের মাকাতি সিটি শাখায় কর্মরত ছিলেন। আরসিবিসির এ শাখায়ই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ প্রবেশ করে। তবে চুরির এ ঘটনায় আরসিবিসির সবচেয়ে আলোচিত কর্মকর্তা ও ব্যাংকটির মাকাতি সিটি শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দাগুইতোর নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়নি।

এএমএলসি গঠিত এ অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এ অভিযোগ গঠনকে একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছি। আমাদের কর্মকর্তারা যে সঠিক পন্থায়ই কাজ করেছেন এবং অর্থ পাচার বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন না কিংবা এতে তারা অংশও নেননি, তা প্রমাণের একটি সুযোগ এর মধ্য দিয়ে পাওয়া যাবে। এ-সম্পর্কিত মামলায় আরসিবিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণ হবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাব থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি যায়। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলংকায় প্রবেশ করে, যা পরে ফেরত পায় বাংলাদেশ। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে, যার অধিকাংশেরই কোনো হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি পিলিপিনাস, সিনেট ব্লু রিবন কমিটি, এএমএলসিসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা তদন্ত শুরু করে। চুরির এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশটির আর্থিক খাতে বিদ্যমান আইনে কিছু দুর্বলতার বিষয় সামনে আসে, যা অর্থ পাচারের মতো ঘটনাকে অপরাধীদের জন্য সহজ করে দিচ্ছে। তদন্তে আরসিবিসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা বোর্ড গত আগস্টে আরসিবিসিকে ১০০ কোটি পেসো (২ কোটি ডলারের বেশি) জরিমানা করে।

শেয়ার বিজনেস24.কম