১০ জুন ২০১৬ শুক্রবার, ১২:০৬ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
শিফটিং ডিউটি যারা করেন তাদের ডেইলি রুটিনে অনেকটা পরিবর্তন আসে। এতোকালের গবেষণায় বলা হয়েছে, শিফটিং ডিউটি ঘুমে বিঘ্ন ঘটায় ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনে।
এবার গবেষকরা জানিয়েছেন, শিফটিং ডিউটি অর্থাৎ কাজের সময়ের বিভিন্নতা ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে।
সাত হাজার অংশগ্রহণকারীর উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানান, সপ্তাহের একেক দিন, একেক কাজের সময় ব্যক্তির নলেজ ফাংশনকে দুর্বল করে। ডাক্তাররা নলেজ টেস্ট নিয়ে দেখেছেন, যারা শিফটিং ডিউটি করেন, তারা দেরিতে কগনেটিভ ইম্পায়ারমেন্টের টেস্ট সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে কোনো কিছু মনে করা, নতুন কিছু শেখা ও দৈনন্দিন জীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অসুবিধাগুলো লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে, যারা এখন থেকে পাঁচ বছর আগে শিফটিং ডিউটি করতেন কিন্তু বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করছেন তারা নন-শিফটকর্মীদের তুলনায় দ্রুত টেস্ট সম্পন্ন করেছেন।
গবেষকরা জানান, বিগত শিফটকর্মীদের অগোছালো মস্তিষ্ক ঠিক অবস্থানে ফিরে আসতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী অধ্যাপক বলেন, ফলাফল অনুযায়ী শিফট ওয়ার্কের সঙ্গে টেস্টে খারাপ পারফরমেন্সের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি খারাপ পারফরমেন্স দেখা গেছে বর্তমানে কর্মরত শিফট ওয়ার্কার ও গত পাঁচ বছর ধরে শিফট ওয়ার্ক করছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে।
অংশগ্রহণকারীদের কগনেটিভ ফাংশন পরিমাপে ব্যবহার করা হয় ট্রায়াল মেকিং টেস্ট। গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে জার্নাল নিউরোবায়োলজি অব এজিং-এ।
সূত্র: বাংলানিউজ
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।