১৭ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার, ০২:২৫ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার বিজনেস24.কম
দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তথা মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালী করতে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে পুঁজিবাজারের সার্বিক সূচক ও লেনদেন নিম্নমুখি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর কারণে দেশের পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী তথা আইসিবি, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করাসহ সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের অনুরোধ করা হলো। এ তহবিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে আইসিবি দায়িত্ব পালন করবে। তহবিলের মধ্যে আইসিবি’র আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো ও মূলধন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলারের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখিত তহবিলে ৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদি ঋণ দেবে। এই তহবিল বিনিয়োগের সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। যার ১ শতাংশ সিংকিং তহবিলে জমা থাকবে। তহবিলের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকারস ও স্টক ডিলার কতৃক ইস্যুকৃত করপোরেট বন্ড/ডেট সিকিউরিটিজে (যার কুপন হার হবে ৬ থেকে ৭ শতাংশ) বিনিয়োগ করা হবে। তহবিল গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তারল্য ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সরকারের রজস্ব আহরণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে বিএসইসি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার তাদের মক্কেলদের পোর্টফোলিওতে সংরক্ষিত সিকিউরিটিজ জামানত রেখে সিকিউরিজের বাজারমূল্যের উপর ঋণ দিয়ে থাকে। পরবর্তী সময়ে সিকিউরিটিজ বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ার কারণে মক্কেলদের ইক্যুইটি ঋণাত্মক হয়ে গেছে। যার ফলে বর্তমানে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণাত্মক ইকুইটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১২ হাজার কোটি টাকা। ঋনাত্বক ইক্যুইটির কারণে পুঁজিবাজারের তারল্য সংকোচনের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।