facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

শাহজিবাজারের সহযোগী নির্মাণ করবে ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র


১৬ জুলাই ২০১৮ সোমবার, ০৮:০৫  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


শাহজিবাজারের সহযোগী নির্মাণ করবে ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মিডল্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কনসোর্টিয়াম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জিই ক্যাপিটাল ইউএস হোল্ডিংসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানটিতে শাহজিবাজার পাওয়ারের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এলএনজিভিত্তিক ৬০০ মেগাওয়াট কমপ্যাক্ট সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট অনুসন্ধান ও বাস্তবায়নের জন্য ১২ জুলাই জিই ক্যাপিটাল ইউএস হোল্ডিংসের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে মিডল্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে অনুমোদনের চিঠি পাওয়ার পর কাজ শুরু করবে কনসোর্টিয়ামটি।

কোম্পানির কর্মকর্তারা বলেন, প্রাথমিকভাবে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করতে কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে আনুমানিক ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে। তবে কনসোর্টিয়ামে কোন পক্ষের কত শতাংশ মালিকানা থাকবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পিডিবির কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে জিই ক্যাপিটাল থেকে মূলত কারিগরি সেবা নেবে মিডল্যান্ড পাওয়ার।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার। পাশাপাশি ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশও দিয়েছে কোম্পানিটি। গেল বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ২৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৪৯ পয়সায়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় শাহজিবাজার পাওয়ার। ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২৮ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে প্রথম তিন প্রান্তিকে শাহজিবাজার পাওয়ারের ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৮৭ পয়সা। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। একইভাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৬৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ৩১ মার্চ এর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩২ টাকা ৭১ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার। পাশাপাশি ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশও দিয়েছে কোম্পানিটি। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ২৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৪৯ পয়সায়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিল্ড ওন অ্যান্ড অপারেট (বিওও) শর্তে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বিপিডিবির অনুমতিপত্র (এলওআই) পায় মিডল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের কাছে মিডল্যান্ড পাওয়ারের ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে। এলওআই পাওয়ার নয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ চলতি বছরের ৯ মের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রটি থেকে সরকারের বিদ্যুৎ কেনার কথা রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ দর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়। দিনভর দর ১০৩ থেকে ১১০ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১০৯ টাকা ৭০ পয়সা, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ১০০ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন ৪ হাজার ১৮২ বারে কোম্পানিটির মোট ২২ লাখ ৯ হাজার ৭৫৪টি শেয়ারের লেনদেন হয়। গত এক বছরে শাহজিবাজার পাওয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৯ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বোচ্চ দর ১৫৩ টাকা ৮০ পয়সা।

শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৬১ কোটি ২ লাখ টাকা। রিজার্ভে

আছে ২৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানির ৬৩ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ১৭ দশমিক ১৮ ও বাকি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৯ দশমিক ৯৫। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২১ দশমিক ৩১।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: