২৩ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার, ১১:৫৮ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
আফগান তরুণী শাকিলা জেরিন আছেন কানাডার ভ্যানকুভারে। শাকিলার ছিমছাম শোয়ার ঘরটাতে বিছানার পাশে তার একটা ছবি আছে। ছবিটাতে দেখা যায় উজ্জ্বল হলুদ রঙের একটা পোশাক পরা শাকিলার কানে লম্বা দুল, তার সঙ্গে মানিয়ে কেনা গলার হার ও আঙটি। খুব সাবলীলভাবে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।
এ ছবিটা আসলে শাকিলার কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। কারণে ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে শাকিলার মুখের মসৃণ ত্বক, কালো চুলও। কিন্তু ২০১২ সালের পর শাকিলা আসলে এমন আর নেই। ওই বছরটাতে আফগানিস্তানে শাকিলার স্বামী তাকে গুলি করেন। তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
এ বছরের শুরুতে শরণার্থী হিসেবে কানাডার ভ্যানকুভারে এসেছেন তিনি।
শাকিলা জানিয়েছেন, তার বয়স যখন ১৭ বছর তখন তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় এমন একজনকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন তার দুলাভাই। তিনি বলছেন, বিয়ের রাত থেকেই তার উপর নির্যাতন শুরু হয়।
একজন অনুবাদকের মাধ্যমে সিবিসি নিউজকে তিনি বলেছেন, বিয়ের রাত থেকে আমাকে সে মারপিট ও ধর্ষণ করতে শুরু করে। ওটাই আমার জীবন হয়ে গিয়েছিল।
সাহায্যের আশায় শাকিলা পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। পুলিশকে তিনি স্বামীর মারপিটের কথা জানান। তার স্বামী ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে তালেবানদের যোগসূত্র রয়েছে বলেও পুলিশকে জানান তিনি।
শাকিলা জানিয়েছেন, এর জবাবে পুলিশ তাকে বলে, উনি আপনার স্বামী, আর তিনি অস্বাভাবিক কোনোকিছু আপনার সঙ্গে করেননি। সে আপনার কান কাটেনি, মুখ কাটেনি, নাক কাটেনি।
আশার কোনো আলো না দেখে পুলিশের কাছ থেকে নিজের মায়ের বাসায় যান শাকিলা।
সে দিনের স্মৃতির কথা মনে করে শাকিলা বলেন, কয়েক ঘণ্টা পরিই আমার স্বামী সেখানে পৌঁছায় আর আমাকে গুলি করে।
শাকিলা বলেন, ‘গুলিটা আসলে আমার মুখের অর্ধেকটা কেড়ে নিয়েছিল। নাক, মুখ, চোখ, দাঁত, চোয়াল সব হারিয়েছিলাম আমি।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।