facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

লাফার্জহোলসিম একীভূতকরণ স্কিমের অনুমোদন


২৩ মার্চ ২০১৯ শনিবার, ০২:১৮  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


লাফার্জহোলসিম একীভূতকরণ স্কিমের অনুমোদন

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবসা একীভূতকরণে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পেয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নিনাকাব্য অডিটোরিয়ামে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয় কোম্পানিটি। এর ফলে একীভূতকরণ স্কিমে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকল না কোম্পানিটির জন্য।

এর আগে একীভূতকরণ স্কিমের খসড়া অনুমোদনে উচ্চ আদালতের কাছে লাফার্জের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত ইজিএমের মাধ্যমে একীভূতকরণ প্রস্তাবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়ার নির্দেশনা দেন। স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যানুসারে, হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেডকে একীভূতকরণ-সংক্রান্ত স্কিমের খসড়ায় উচ্চ আদালতের অনুমোদন নেয়ার জন্য আবেদন করে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। এর পরিপ্রেক্ষিতে
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত আদেশে একীভূতকরণ প্রস্তাবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে ইজিএম আয়োজনের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

২০১৬ সালে গ্রুপ পর্যায়ে ফরাসি সিমেন্ট জায়ান্ট লাফার্জ ও সুইস হোলসিম একত্র হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী দুই গ্রুপের ব্যবসা একীভূত হয়ে আসে। বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের মুখ্য শেয়ারহোল্ডার ছিল লাফার্জ গ্রুপ। অন্যদিকে শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭৪ শতাংশ শেয়ার ছিল হোলসিম গ্রুপ তথা হোল্ডারফিন বি ভির হাতে। ২১ শতাংশ সিয়াম সিটি ও সিয়াম সিমেন্ট এবং বাকি ৫ শতাংশ ছিল স্থানীয় ট্রান্সকম গ্রুপের হাতে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সহজ করতে হোল্ডারফিন বি ভি দুই গ্রুপের হাতে থাকা ২৬ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ১১ কোটি ৭০ লাখ ডলারে (ডলারের মান ৮০ টাকা ধরে ৯০০ কোটি টাকার বেশি) হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শতভাগ সম্পদ কিনে তা একীভূত করে দেয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছিল। তবে হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার বিক্রির অর্থ তার হেডকোয়ার্টারে পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনুমোদন চাওয়া হলে তারা অধিগ্রহণ বাবদ ৫০৪ কোটি ৭৮ লাখ ১৯ হাজার ৯৪০ টাকা বিদেশে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। অর্থাৎ প্রকারান্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হোলসিম বাংলাদেশের ৮৮ হাজার ২৪৪টি (শতভাগ) শেয়ারের জন্য এ মূল্যই নির্ধারণ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্যেই হোলসিমকে কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করে লাফার্জ।

এদিকে হোলসিম অধিগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ হিসাব বছরে লাফার্জহোলসিমের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ৯৬ পয়সা। ২০১৭ সালে শুধু লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল লাফার্জ।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৪৪ টাকায় হাতবদল হয়। সমাপনী দর ছিল ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৩৯ টাকা ও সর্বোচ্চ দর ৬৮ টাকা ১০ পয়সা।

২০০৩ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূল্যধন ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৬৫ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এর মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশী শূন্য দশমিক ৯৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪৬ দশমিক ৩৫, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৬৪ দশমিক ৪৯।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: