তিন বছরের মধ্যে তলানিতে ডিএসইর সূচক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার সূচকের বড় পতনে লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স নেমেছে প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। এদিন লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও তা ৫০০ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে। অন্যদিকে দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও সূচক কমেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের পর তিন কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও সূচক নিম্নমুখী ছিল। বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে, যা প্রায় ৩৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২১ সালের ৯ মে ডিএসইর সূচক দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ৬৪৬ পয়েন্টে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বৃহস্পতিবার ২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ৭ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বৃহস্পতিবার দিন শেষে ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৬২ পয়েন্ট।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ৫২২ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪৮২ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, কমেছে ৩৪২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির বাজারদর।

গত বৃহস্পতিবার সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ব্যাংক, রেনাটা, পুবালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, উত্তরা ব্যাংক ও লাফার্জহোলসিমের শেয়ারের।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে ছিল বস্ত্র খাতের। ১২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৭ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে ভ্রমণ খাত বাদে সব খাতের শেয়ারে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। ভ্রমণ খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কাগজ, মিউচুয়াল ফান্ড ও সিরামিক খাত। খাতগুলোয় নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৪, ৩ দশমিক ১, ২ দশমিক ৫ ও ২ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স বৃহস্পতিবার ১৩১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৬৭ পয়েন্টে নেমেছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ২১৫ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৬ হাজার ৪৬০ পয়েন্ট। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ১৫৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১৮ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১২ কোটি টাকা।