১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার, ০২:৩১ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
হোলসিম সিমেন্ট বাংলাদেশের পুরো শেয়ার কিনতে ৯৪৪ কোটি টাকা দাম দেওয়ার চুক্তি করেছিল বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। তবে প্রকৃত সম্পদমূল্য পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক হোলসিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫০৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ পরিমাণ অর্থই বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা চুক্তিমূল্যের সাড়ে ৫৩ শতাংশ। গতকাল সোমবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, হোলসিম বাংলাদেশের সম্পদমূল্য যাচাই করে দেখা গেছে, তা কোম্পানি দুটির চুক্তিমূল্যের চেয়ে অনেক কম। পর্যালোচনা শেষে পুরো শেয়ারের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর সমপরিমাণ অর্থই বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, হোলসিম বাংলাদেশের পুরো শেয়ার কেনাবেচা বাবদ মূল্য ১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার নির্ধারণ হয়েছিল। ক্রেতা লাফার্জ সুরমা ও বিক্রেতা হোলসিম বিভি উভয়ের সম্মতিতে এ দর নির্ধারণ হয়। এর পরই এ অর্থ বিদেশে পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
ওই কর্মকর্তা জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সূত্রে তারা জেনেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হোলসিমের ৮৮ হাজার ২৪৪টি শেয়ার কেনাবেচার জন্য ৫০৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা ছয় কোটি ২৫ লাখ ২৭ হাজার ১৮৮ ডলার। অথচ চুক্তি অনুযায়ী ১১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৪৪ কোটি টাকা পাঠানোর অনুমতি পাওয়ার কথা ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক চুক্তিমূল্যের তুলনায় ৪৩৯ কোটি টাকা কম পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। এ অবস্থায় হোলসিম বিভি ও লাফার্জ সুরমা ফের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।