facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

মাটি চাপায় নিহত ৩৯


১৩ জুন ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৭:১৯  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


মাটি চাপায় নিহত ৩৯

পাহাড় ধসে মাটি চাপায় ৩৯ জন নিহত হয়েছেন জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম) বলেছেন, উদ্ধার কার্যক্রম, খাদ্য সহায়তা ও আশ্রয় দেওয়ার সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক পাহাড় ধস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ত্রাণমন্ত্রী।

মায় বলেন, পাহাড়ী এলাকায় এ পর্যন্ত ৩৯ জন লোক মাটি চাপা পড়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তা চলাচল উপযুগী করার সময় সেনাবাহিনীর দশজন সদস্য মাটি চাপা পড়েন। এতে দুইজন কর্মকর্তাসহ চারজন সৈনিক মাটি চাপা পড়ে মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি মন্ত্রী গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ী এলাকায় দুইদিন আগে থেকেই লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। এর মধ্যে গত দুইদিনে সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। লোকদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন যতদিন নিজ আশ্রয়ে ফিরে না যাবেন, ততদিন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য সরবরাহ করা হবে।

ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, উদ্ধার কাজ পরিচালনা ও তদারকির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীসহ স্থানীয় সব এমপিকে নিজ নিজ এলাকায় যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার আমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবো।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খাদ্য সহায়তা বাবদ বান্দরবানে ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা, রাঙ্গামাটিতে ১৮৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা ও চট্টগ্রামে ২২৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আহত লোকদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। মৃত ব্যক্তিদের সৎকারের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে উদ্ধার কার্যক্রম, খাদ্য সহায়তা ও আশ্রয় দেওয়ার সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্থানীয় প্রশাসন ও নেতারা সবাই পাহাড় ধসে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, সশস্ত্রবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: