facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

বড় মূলধনী রিং সাইন টেক্সটাইল নিয়ে বিপাকে কারসাজিকারকরা


১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার, ০৬:০৮  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


বড় মূলধনী রিং সাইন টেক্সটাইল নিয়ে বিপাকে কারসাজিকারকরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শক্ত মৌলভিত্তির কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইলের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করতে পারছেন না বাজার খেলোয়াররা। বড় ভলিউমের শেয়ার থাকায় তারা এই কোম্পানি নিয়ে খেলতে পারছেন না। বাজারে রিং সাইন টেক্সটাইলের মোট ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি শেয়ার রয়েছে।

ব্যাপক সংখ্যক শেয়ার থাকায় কেউ ইচ্ছা করলেও কোম্পানিটিকে নিয়ে কারসাজি করতে পারবে না। ভালো মৌলভিত্তির এ শেয়ারে বিনিয়োগ করে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কোম্পানি এসেছে তার মধ্যে এটিই ঋণমুক্ত কোম্পানি। অর্থাৎ কোম্পানিটির কোনো ঋণ নেই।

সাম্প্রতিক দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারটির দাম ব্যাপক কমে গেছে। গত রোববার কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল মাত্র সাড়ে ৭টাকা। যা শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন গুনের চেয়েও বেশি কম। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে শেয়ারটির দাম এখন লোভনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের মুনাফা করার জন্য এখনি শেয়ারটি কেনার সময়।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে পোশাক খাতের অধিকাংশ কাঁচামাল আমদানি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে দেশের অধিকাংশ পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রিং সাইন টেক্সটাইল থেকে কাঁচামাল কিনছে। ফলে কোম্পানিটির ব্যাপক মুনাফা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রিং সাইনের কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে ১০০% এক্রাইলিক, ১০০% ভিসকস, ১০০% কটন, ১০০% এক্রাইলিক মেনজ, ৭০/৩০ সিভিসি, ৬০/৪০ সিভিসি, ৫০/৫০ এক্রাইলিক-কটন, ১০০% পলিস্টার। দেশের পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এসব কাঁচামাল রিং সাইন থেকে সরবরাহ করছে।

তবে দেশের ব্যাংকগুলো এই বড় মূলধনী কোম্পানিটিকে সহযোগিতা করলে রিং সাইন টেক্সটাইলের মুনাফা হতো কয়েকগুন বেশি। নানা গুজবে বর্তমানে কোম্পানিটিকে সহায়তা করছে না ব্যাংকগুলো।

রিং শাইন টেক্সটাইল শেয়ারবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এরমধ্যে প্রসপেক্টাসে উল্লেখ অনুযায়ি, ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। যা দিয়ে ঢাকা ব্যাংকের ২৮ কোটি টাকা ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২২ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। আইপিওতে ডিএসইর ফি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকাসহ মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাকি টাকা দিয়ে যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় করা হবে। যা ক্রয়ে সময়সীমা রয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত।

২০১৮ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে যেখানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৩৬ পয়সা। সেখানে ২০১৯ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আয় বেড়ে হয়েছে ৪৫ পয়সা। ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৮৭ পয়সা। যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ৮৮ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর রিং শাইন টেক্সটাইলের অনুমোদিত মূলধন ৪৪০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫৪০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বস্ত্র খাতের রিং সাইন টেক্সটাইলের মোট শেয়ারের ৩১.৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ২২.৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ও বাকি ৪৫.৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বেশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

অন্যদিকে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বড় ধরনের কোম্পানি হওয়ায় কোম্পানিটিকে নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হয়। যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: