facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কমানোর দাবি


১৩ জুন ২০১৮ বুধবার, ০৯:৩৬  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কমানোর দাবি

পুঁজিবাজারের ভিত্তি শক্তিশালী করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। এ বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনি মুনাফার ওপর আরোপিত ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব করেছেন দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকাররা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় এ সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএমবিএ বলে, বর্তমানে মোটা দাগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনি মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে এ হার ৫ শতাংশ। এ হার কমিয়ে আনা হলে বিভিন্ন শ্রেণীর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহ পাবে, যা বাজারের উন্নতির জন্য খুবই প্রয়োজন।

পর্যালোচনায় বাজেটের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক দিক উল্লেখ করে বিএমবিএ বলে, তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা কোম্পানি ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করে ব্যবধানটি যথেষ্ট বাড়াতে হবে।

সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এএফসি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব এইচ মজুমদার এফসিএমএ বলেন, বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত অর্ধশত কোম্পানি প্রতি বছর সরকারের কোষাগারে যে পরিমাণ অর্থ জমা দেয়, তালিকাবহির্ভূত হাজার হাজার কোম্পানি থেকেও সরকার সে পরিমাণ রাজস্ব পায় না। এর কারণ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে অনেক স্বচ্ছভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
তাই আমাদের প্রস্তাব, তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করহারে এমন একটি ব্যবধান নিশ্চিত করতে হবে, যা সব ইন্ডাস্ট্রির ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে আসায় একটি প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আপাত চোখে রাজস্ব কমে যাবে মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি সরকারের কর কর্তৃপক্ষ, পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি সবার জন্যই সুফল বয়ে আনবে।

তিনি মনে করেন, তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক-বীমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে করপোরেট করহারে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ব্যবধান থাকতে হবে। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, প্রকৌশল, খাদ্য, সেবা ও অন্যান্য খাতে এ ব্যবধান ৫-১০ শতাংশ রাখা দরকার। তবেই সব ইন্ডাস্ট্রির সফল কোম্পানিগুলোকে আমরা পুঁজিবাজারে দেখতে পারব। ব্যবস্থাটি এমন হওয়া দরকার যে, যারা পুঁজিবাজারে না আসবে তাদের বেশি কর দিতে হবে।

পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইন্টারমিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরেট করহারে অসমতা প্রসঙ্গে বিএমবিএ বলে, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হলেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে এখনো ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর নেয়া হচ্ছে। এ নীতি পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে সুযোগের সমতা ব্যাহত করছে। আমরা সব ইন্টামিডিয়ারি ইন্ডাস্ট্রির জন্য সমান করপোরেট করের দাবি জানাচ্ছি।

বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে বিএমবিএ নেতারা বলেন, প্রতি বছর ৭ শতাংশের ওপর জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ইতিবাচক। এ প্রবৃদ্ধির জন্য বাজেটের আকারও যথেষ্ট বড় হচ্ছে, যাকে সমর্থন দিতে এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) অর্জনও আশাব্যঞ্জক। এক দশক ধরে এনবিআরের গড় বার্ষিক রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশ।

অন্যদিকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএমবিএ বলে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যেখানে সরকার ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে, সেখানে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণগ্রহণের পরিকল্পনা বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট বাস্তবসম্মত নয়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: