২৩ অক্টোবর ২০১৬ রবিবার, ০২:৩০ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে স্টুয়ার্ট ব্রডকেই শুধু বাংলাদেশের বোলাররা আউট করতে পারেননি। ইংলিশ পেসার আজ শুরুতেই ফিরেছেন রানআউট হয়ে। ইংল্যান্ডের বাকি ১৯ উইকেটই তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
টেস্টে জিততে হলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া অবশ্যকর্তব্য। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের সেই সামর্থ্য আছে কি না, প্রশ্নটা ঘুরেফিরে এসেছিল চট্টগ্রামের টেস্টের আগে। আর প্রশ্নটা তুললেন খোদ বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। হয়তো অতীত রেকর্ড আর পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়েই এমন প্রশ্ন কোচের। ৯৩টি টেস্টের ১৪৪ ইনিংসে বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এর মধ্যে মাত্র ৬১ বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে পেরেছে বাংলাদেশ। শতাংশের হিসাবে যেটি মাত্র ৪২! যদি ম্যাচের দিকে তাকান, মাত্র ৮টি টেস্টে প্রতিপক্ষকে দুবার অলআউট করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
দুইবার অলআউট করা প্রতিপক্ষের ছয়টি জিম্বাবুয়ে আর দুটি ২০০৯ সালের খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে দুবার অলআউট হওয়া প্রথম দল ইংল্যান্ডই।
হাথুরু বলেছিলেন, তাঁর দলে ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার বোলার নেই। সাকিব আল হাসান সরাসরি না বললেও কোচের এই ভাবনার সঙ্গে যে একমত নন, সেটি জানিয়ে দিয়েছিলেন টেস্টের আগেই, ‘যদি কখনো স্পিনার কিংবা পেসারদের সুযোগ দেওয়া হয়, মনে হয়, আমাদের বোলারদের ২০ উইকেট নেওয়ার যোগ্যতা আছে।’
সাকিবরা সেটি প্রমাণও করেছেন। স্পিনবান্ধব উইকেট কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ইংল্যান্ডের ১৮ উইকেটই স্পিনারদের। এর মধ্যে সাকিবের ৭টি, মেহেদী হাসান মিরাজের ৭টি, বাকি ৪টি তাইজুল ইসলামের।
আরেকটি পরিসংখ্যান ভীষণ আশাবাদী করবে বাংলাদেশ দলকে। যে কয়বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে, কোনটিতেই হারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটি জয় আর একটিতে ড্র। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে পারবে অতীতের পুনরাবৃত্তি করতে? অবশ্য সেটি করতে হলে তাদের ইতিহাসই গড়তে হবে। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রেনাডা টেস্টে ৪ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।