facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

কারাগারে যা খেলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামি


১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার, ০৯:০৫  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


কারাগারে যা খেলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার ১২ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে অন্য আসামিদের মতো সাধারণ খাবার দেওয়া হয়েছে। সাত খুনের ফাঁসির আসামিদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।    
 
কারা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ১৫টি কনডেম সেল রয়েছে। তার মধ্যে ৭ খুন মামলার ১২ জনসহ মোট ২৫ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। সবাইকে কারাবিধি অনুযায়ী পোশাক পরানো হয়েছে। আসামিদেরকে রাতে সবজি, ডাল, ভাত ও মাছ, সকালে রুটি ও গুড়, দুপুরে সবজি, ভাত ও ডাল খেতে দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ কারাগারের কনডেম সেলে সাত খুনের ফাঁসির যেসব আসামি রয়েছেন তারা হলেন, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দ বালা, র‌্যাবের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, রহম আলী, আবুল বাশার। এছাড়া সাত খুনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ছয়জন নারায়ণগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনকে গাজীপুর কাশিমপুর কারগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, নূর হোসেন, র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা (এমএম রানা) ও ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান জানান, কনডেম সেলে বন্দিরা কারাবিধি অনুযায়ী যতটুকু সুবিধা পাওয়ার কথা এর থেকে বেশি কোনো সুবিধা পায়নি। আসামিরা সবাই সুস্থ আছেন।  

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ কারাগারে সাত খুনের ১৮ আসামিকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও ছয়জন বিভিন্ন কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত।  

আলোচিত সাত খুন মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ আসামিরা হলেন, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর একসময়ের সন্ত্রাসীর গডফাদার নূর হোসেন, র্যাব-১১এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, র্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সিপাহী সাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

আর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন ও সিপাহী নুরুজ্জামান ১০ বছর এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: