facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

১৬ কোম্পানির লেনদেন সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে


২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার, ০২:৫১  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


১৬ কোম্পানির লেনদেন সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে

শেয়ারবাজারে সূচক আরও কমেছে। গতকাল সোমবার প্রধান বাজার ডিএসইর ৬৬ শতাংশ শেয়ারের দরপতনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৩৯৪ পয়েন্টে নেমেছে। ২০১৬ সালের ২৬ জুনের পর এই প্রথম সূচকটি ৪৪০০ পয়েন্টের নিচে নামল। যেভাবে দরপতন চলছে, তা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা নিয়ে ভীষণ আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকালের পতনসহ শুধু চলতি মাস ডিসেম্বরে ৩৩৭ পয়েন্ট হারিয়েছে ডিএসইএক্স। সূচক পতনের হার ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দরপতনে গত ১১ মাসে সূচকটি হারিয়েছে ১৫৫৭ পয়েন্ট বা ২৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ৩৫৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে মাত্র ৬৮টির বাজারদর বেড়েছে। যেখানে ২৩৪টি শেয়ার ও ফান্ড দর হারিয়েছে। গতকাল অপরিবর্তিত ছিল ৫২টির দর। শতাংশের হিসাবে ১৯ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে, দর হারিয়েছে ৬৬ শতাংশ। কেনাবেচা হয়েছে ২৬৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার।

প্রায় একই চিত্র ছিল চট্টগ্রামকেন্দ্রিক দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে। এ বাজারে গতকাল ২৩৯ শেয়ার ও ফান্ডের কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ৫৬টির বা ২৩ শতাংশের দর বেড়েছে, কমেছে ১৫১টির বা ৬৩ শতাংশের। বাকি শেয়ারগুলোর দর ছিল অপরিবর্তিত। গতকাল মাত্র ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর কোনো খাতই গতকাল দরপতনের বাইরে ছিল না। গড়ে সবচেয়ে বেশি পৌনে ৭ শতাংশ দর হারিয়েছে সিরামিক খাতের ৫ কোম্পানি। এর বাইরে অন্য সব খাতের শেয়ারগুলো খাতওয়ারি হিসাবে গড়ে ১ থেকে আড়াই শতাংশ দর হারিয়েছে।

ব্যাংক খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে ২০টিই দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র ৩টির দর। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২২ কোম্পানির মধ্যে ১৪টি এবং বীমা খাতের ৪৭ কোম্পানির মধ্যে ৩৮টি দর হারিয়েছে। এই তিন খাতের গড়ে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ, শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ দর কমেছে। গত কিছুদিন ধরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দর বেশি কমলেও কিছুটা বিপরীত ধারায় ছিল বীমা খাতের শেয়ার।

তবে বরাবরের মতো উৎপাদন ও সেবামুখী ১৫ খাতের শেয়ারগুলোর দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এমন ১৫ খাতের লেনদেন হওয়া ২১৮ শেয়ারের মধ্যে ১৪৮টি দর কমেছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ১৯ কোম্পানির মধ্যে ১৬টির, প্রকৌশল খাতের ৩৮টির মধ্যে ২৫টির, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩২টির মধ্যে ২৫টির, বস্ত্র খাতের ৫৬ কোম্পানির মধ্যে ৩৪টির দর কমেছে। অন্য সব খাতেও ছিল দরপতনের এমন চিত্র।

একক কোম্পানি হিসেবে সর্বাধিক প্রায় ১০ শতাংশ হারে দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল যমুনা অয়েল ও গোল্ডেন হারভেস্ট কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া জিকিউ বলপেন, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স ও সমতা লেদার ৮ শতাংশ দর হারিয়ে ছিল দরপতনের শীর্ষ পাঁচে।

৫ থেকে প্রায় ৮ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে আরও ১৩ কোম্পানি। এগুলো হলো- ইনফরমেশন সার্ভিসেস, দেশ গার্মেন্টস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, হামিদ ফেব্রিক্স, লিবরা ইনফিউশনস, আজিজ পাইপস, সোনালী আঁশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস, জনতা ইন্স্যুরেন্স ও আনলিমা ইয়ার্ন।

এমন দরপতনেও অবশ্য বেড়েছে অনেক রুগ্‌ণ, দুর্বল মৌলভিত্তির এবং বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল ডিএসইতে জেড গ্রুপের ২৫ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৬টির দর। দরবৃদ্ধির শীর্ষেও ছিল এ ধরনের শেয়ার।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল অন্তত ১৬ কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে শেষ পর্যন্ত ওই দরে স্থির ছিল আটটি। এগুলো হলো- সিএনএটেক্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইমাম বাটন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, শ্যামপুর সুগার মিলস, এসএস স্টিল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ঝিলবাংলা সুগার মিলস।

এর বাইরে আরও যেসব শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়, সেগুলো হলো- বিডি ওয়েল্ডিং, বিচ হ্যাচারি, বিআইএফসি, এমারেল্ড অয়েল, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং ও তুংহাই নিটিং।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: