৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার, ০৫:৩২ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
পিরোজপুর সদর উপজেলায় যৌতুন নিয়ে নিয়ে গ্রাম্য সালিশের আগেই এক গৃহবধূ ও তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেছেন এক ইউপি সদস্য। আহত গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা (৪৫) ও তার মেয়ে জেসমিন আক্তার (২৫) পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের বাড়ি একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পোরগোলা গ্রামে।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খানাকুনিয়ারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিয়াজ হোসেন উজ্জল কদমতলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আহত রাজিয়া সুলাতানা বলেন, তার মেয়ে জেসমিন আক্তারের সঙ্গে পাশের খানাকুনিয়ারী গ্রামের মজিবুর শেখের ছেলে মারুফ শেখের বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় মারুফ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক দাবি করে আসছিলে। সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে জেসমিনকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে দু`পক্ষকে নিয়েই শনিবার বিকেলে খানাকুনিয়ারী ফাজিল মাদরাসা মাঠে সালিশ বৈঠক ডাকে উজ্জল মেম্বার।
কিন্তু সালিশ বৈঠকে বসার আগেই হঠাৎ করেই আমার মেয়েকে গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার মেয়েকে উজ্জল মেম্বার মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে শুরু করে। এসময় আমি থামাতে এলে সে আমাকেও মারে এবং পরে লাঠি দিয়ে আমার মেয়ে ও আমাকে প্রচণ্ড মারপিট করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
কদমতলার ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান বলেন, মারধরের বিষয়টি শুনেছি। সালিশ বৈঠকের নামে এ রকম অন্যায়ভাবে কাউকে মারধর করা উজ্জল মেম্বারের উচিত হয়নি।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, রাতে আহতরা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়ে গেছে। অভিযোগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রিয়াজ হোসেন উজ্জল জানান, তিনি কাউকে মারেননি। সালিশ বৈঠকে দুপক্ষ মারপিট করছিল। তখন সে শুধু মাত্র দুই পক্ষকে থামিয়ে দিয়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।