facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ মে শনিবার, ২০২৪

Walton

বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়


০৪ মে ২০২৪ শনিবার, ১০:১৯  এএম

স্পোর্টস ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়

ফুটবল–দুনিয়ায় লিওনেল মেসির সাফল্য ও অজর্নের সবটাই ভক্ত–সমর্থকদের জানা। ফুটবলের বাইরেও মেসির জগৎটা একেবারে ছোট নয়। ব্যবসা–বাণিজ্যের দুনিয়ায়ও সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী এ মহাতারকা। মেসির ব্যবসা–বাণিজ্যের খবর যদিও খুব কমই সামনে আসে। তবে এবার হাইড্রেশন ড্রিংক (জলযোজন পানীয়) বাজারের আনার প্রস্তুতির খবর দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এই ইন্টার মায়ামি তারকা।

নাম ঠিক না করলেও এই পানীয় বাজারে আনার ঘোষণা গত মার্চেই দিয়েছিলেন মেসি। সে সময় তিনি বেভারেজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্ক অ্যান্থনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবরও জানান। মার্ক অ্যান্থনি ব্র্যান্ডের পক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে মেসি তখন বলেছিলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত। আমি একজন মালিক হিসেবে বিনিয়োগ করেছি। এমন কিছু আমি আগে কখনোই করিনি।’

বিবৃতিতে এই পানীয় যুগান্তকারী এবং অন্য নন–অ্যালকোহলিক ব্র্যান্ডের চেয়ে একেবারে আলাদা বলেও উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে মেসির দেওয়া পোস্ট থেকে জানা গেছে, এ বছরের ২৪ জুন পানীয়টি বাজারজাত করা হবে। শুরুতে এই পণ্য শুধু যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বাজারে পাওয়া যাবে।

এর মধ্যে গত বুধবার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে নিজের এই পানীয় বাজারে আনা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপজয়ী তারকার পোস্ট করা ভিডিওটিতে মেসি ও তাঁর স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে একটি পানীয় প্রস্তুতকারক কারখানা পরিদর্শন করতে দেখা যায়।

মেসি সেখানে বলেন, ‘আমরা নিজেদের হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’

মেসির মার্ক অ্যান্থনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অবশ্য তাঁর মাঠের বাইরে গড়ে ওঠা বিশাল এক ব্যবসায়িক দুনিয়ার সামান্য অংশ। ইন্টার মায়ামি থেকে বছরে ৫–৬ কোটি ডলার আয় করেন মেসি। ফোর্বসের হিসাব মতে, সাবেক এ বার্সেলোনা তারকার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলারের মতো।

নানা ধরনের ব্যান্ড ও প্রতিষ্ঠানের পণ্যের দূত হিসেবেও বিপুল পরিমাণ আয় করেন মেসি, যেখানে অ্যাডিডাস ও পেপসিকোর মতো নামী ব্র্যান্ডও আছে। অ্যাডিডাস ২০১৭ সালে মেসির সঙ্গে আজীবনের জন্য চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার করে পেয়ে থাকেন ‘এলএম টেন’। এ ছাড়া ক্রিপ্টো ফার্ম সোসিওস ডটকম থেকে বছরে ২ কোটি এবং সৌদি ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি পেয়ে থাকেন মেসি।

আর ব্যবসায়ী হিসেবে মেসি এরই মধ্যে নিজের কাপড়ের ব্র্যান্ড চালু করেছেন। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে মেসি স্টোরও। এর আগে ২০২২ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে প্লে টাইম স্পোর্ট–টেক নামের ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন মেসি, যে প্রতিষ্ঠান খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করে। এ ছাড়া হোটেল ব্যবসাসহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেন মেসি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: