facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ এপ্রিল সোমবার, ২০২৪

Walton

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোন শেয়ারগুলোর বেশি দরপতন?


২৩ মার্চ ২০২৪ শনিবার, ১০:২৭  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোন শেয়ারগুলোর বেশি দরপতন?

দশ মাসেরও বেশি সময় পর গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর ২১ জানুয়ারি থেকে ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানির শেয়ার স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরে।

গত দুই মাসে কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বাড়লেও ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশের আশেপাশে, ৮টির দাম কমেছে ৪০-৪৫ শতাংশ, ২৫টির দাম কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ, ৮৪টির দাম কমেছে ২০-৩০ শতাংশ, ১১০টির দাম কমেছে ১০-২০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশের কম দাম কমেছে ৯৪টির।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় পড়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের বিনিয়োগকারীরা। গত দুই মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৫২.৫৬ শতাংশ।

দরপতনে শীর্ষে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জিএসপি ফাইন্যান্সের ৫২.১৪ শতাংশ, রিং সাইন টেক্সটাইলের ৪৭.৯৬ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ৪৬.০৩ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৪৫.৮৯ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ৪৫.১৭ শতাংশ।

৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হয়েছে-ম্যাকসন্স স্পিনিং, বে লিজিং ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমএল ডায়িং, জেএমআই মেডিকেল ডিভাইস, এসিআই লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের।

পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিএসইসির বেঁধে দেয়া দামের নিচে নামতে পারে না। তবে এর প্রভাবে শেয়ারবাজারে লেনদেন বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও শেয়ারদর ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার দাবি উঠে নানা মহল থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি, যা ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।

এরপর গত ২২ জানুয়ারি নতুন করে আরও ২৩ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। তৃতীয় দফায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরও ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। এখন কেবল বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল আছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকা শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি সংগ্রহ করার প্রবণতা ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এক্ষেত্রে লাভ-ক্ষতির বিবেচনা না করেও শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। এছাড়া বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দরপতন বাজারে ছোট কোম্পানিগুলোর দরপতনকে প্রভাবিত করেছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: