নড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

শরীয়তপুরের নড়িয়ার উপজেলার ঘড়িষার বাজারে অবস্থিত মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় মাহিনুর বেগম নামে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালটিকে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন এর আগেও এ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অনেক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

৬ মে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত মাহিনুর বেগম নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের পন্ডিতসার গ্রামের ইতালি প্রবাসী উজ্জ্বল মীর মালতের স্ত্রী। 

রোগীর স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান, মাহিনুরের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে ঘড়িষার মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় রোগীর সিজার করলে একটি কন্যা সন্তান হয়। তবে সিজারের সময় রোগীর নাড়ী ভুল করে ডাঃ মনোয়ার হোসেন কেটে ফেলেন। কিন্তু বিষয়টি তারা গোপন রাখেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ব্যাপারে ঘড়িষার মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনোয়ার হোসেন এবং মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছে। 

এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর হোসেন বলেন, ঘড়িসারে মা-শিশু ও ডায়াবেটিক হাসপাতালের ডাঃ কহিনুর বেগম এক রোগীর সিজার করেন। সিজারের পর রোগীর অবস্থার অনবতি হলে ডাক্তার উক্ত রোগীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। শরীয়তপুর যাওয়ার পথেই রোগী মারা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজিত স্বজরা হাসপাতালটি ভাংচুর করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি স্বজনরা অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।