facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

দুই কোম্পানিতে ১৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বারাকা পতেঙ্গা


০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার, ০৬:০৫  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার বিজনেস24.কম


দুই কোম্পানিতে ১৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বারাকা পতেঙ্গা

বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে নিজেদের আরো শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে ও মুনাফা বাড়াতে দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে মোট ১৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। ২০০৭ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে যাত্রা হয় কোম্পানিটির। এরপর ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ফার্নেস অয়েল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পায়। এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবসায়িক সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে। এর একটি কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং অন্যটি হলো বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড। সাবসিডিয়ারি দুটির ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার।

কর্ণফুলী পাওয়ার ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ফার্নেস অয়েলভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যা ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে ২০১৯ সালের মে মাসে। এটির উৎপাদনক্ষমতা ১০৫ মেগাওয়াট ও এর জ্বালানি এইচএফও।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কাদির শাফি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে আমরাই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা ডি-সালফারাইজেশন প্রযুক্তির প্লান্ট স্থাপন করেছি। এ প্রযুক্তি সালফার নিঃসরণ গ্রহণযোগ্য মাত্রায় রাখতে সক্ষম। তিনি আরো বলেন, সঞ্চালন লাইনের অপর্যাপ্ততার কারণে আমাদের দুটি সাবসিডিয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে উৎপাদনে যেতে পারছে না। তবে আগামী মে মাস থেকে আমরা সম্পূর্ণ উৎপাদনে যেতে সক্ষম হব। এতে আমাদের কোম্পানির আয়ও বাড়বে।

কোম্পানিটির চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সম্পৃক্ত হলে তা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এজন্য আমরা পুঁজিবাজারে আসছি। অন্যদিকে বিদেশী ব্যাংকের সঙ্গে করেসপন্ডিং ব্যাংকিং করতে গেলে সুশাসন ও শেয়ার ধারণের অবস্থা দেখা হয়। সব মিলিয়ে শেয়ারবাজারে আসতে পারলে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ে। তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো দেশজুড়ে আরো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বেসরকারি খাতের বৃহত্তম উৎপাদনকারী কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এজন্য আমাদের সাবসিডিয়ারিগুলোকে আরো লাভজনক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

গোলাম রব্বানী চৌধুরী বলেন, আইপিও তহবিলের বড় অংশই কর্ণফুলী পাওয়ার ও শিকলবাহা পাওয়ারে ইকুইটি বিনিয়োগের কাজে ব্যয় করা হবে। বাকিটা ব্যবহার হবে আমাদের কোম্পানিটিকে কিছুটা ঋণমুক্ত করতে। অন্যথায় আমাদের আয়ের বড় একটি অংশ ব্যাংকঋণের সুদ বাবদ খরচ হয়ে যাবে, যা বেশি মুনাফা অর্জনে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: