facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

দরপতন পুঁজিবাজারে


০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার, ০৪:০৮  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


দরপতন পুঁজিবাজারে

আগের টানা ৫ কর্মদিবস লেনদেন বৃদ্ধির বিষয়টি স্বস্তি এনে দিলেও চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বড় পতন হয়েছে পুঁজিবাজার। সোমবার দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে ৭ গুণের বেশি। ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে তারও বেশি, তবে সংখ্যাটি আগের দিনের চেয়ে কমে এসেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৬ কর্মদিবস পর রোববার লেনদেন ৭০০ কোটির ঘর অতিক্রম করলেও এক দিন পরই নেমে এসেছে ৫০০ কোটির ঘরে।

সোমবার দিনভর হাতবদল হয়েছে ৫৮০ কোটি ৮১ লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭১ কোটি ৯২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা কম।

ডিসেম্বরে ৩০০ কোটি থেকে ২০০ কোটির ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন ৪ জানুয়ারি বাড়তে থাকে বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বৈঠকের পর। ১৮ জানুয়ারি হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই হওয়ার পর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে উল্টো পথে চলে লেনদেনের চাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার লেনদেন নেমে আসে ৪০০ কোটির ঘরে।

সপ্তাহটিতে প্রথম তিন কর্মদিবস সূচক পতন ও শেষের দুই কর্মদিবস সূচক বাড়লেও চার দিনই লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই ১০৬ কোটি ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বেড়ে হাতবদল হয় ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

সেখান থেকে ৬৫ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বেড়ে রোববার লেনদেন হয় ৭৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, যা ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ১৮ জানুয়ারি। সেদিন ৯৩৪ কোটি ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা লেনদেন হয়।

আজ লেনদেন না হওয়া কোম্পানির সংখ্যা আগের দিনের ৩ গুণের বেশি বেড়েছে। রোববার একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ১৫টি। অথচ সোমবার সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪টিতে। অবশ্য বৃহস্পতিবার এটি ছিল ৫৬।

দরবৃদ্ধির তুলনায় সোমবার দরপতন হয়েছে ৭ গুণের বেশি। আগের দিন এটি ছিল ৩ গুণ।

আজ ২১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫২টির। আগের দিন ৪৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছিল ১৩৩টির।

অপরিবর্তিত দরে লেনদেনের সংখ্যা আগের মতোই বেশি রয়েছে। লেনদেন খরার মধ্যে আড়াই শতাধিক কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল। ধীরে ধীরে শতাধিক কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে।

গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ১৬৫টি কোম্পানির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে বা ফ্লোর প্রাইসে। রোববার ফ্লোরে ঢোকে আরও ৫টি কোম্পানি। ১৭১টি কোম্পানির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে। সোমবার ফের ৫টি কোম্পানি বেরিয়ে এসেছে ফ্লোর থেকে। ফলে অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ১৬৫টির।

আগের সপ্তাহের রবি, সোম ও মঙ্গলবার মিলিয়ে ২৯ পয়েন্ট সূচক পতনের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার সূচক বেড়েছিল ২৭ পয়েন্ট।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ৮ পয়েন্টের পর সোমবার কমল আরও ৫ পয়েন্ট। ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে।

লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, টানা কয়েক দিন লেনদেন বাড়ার পর একটু কমেছে। কিছুটা প্রফিট টেকিং বা মার্কেট কারেকশন হয়ে থাকতে পারে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: