১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার, ১০:৫৬ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
করপোরেট বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় বস্ত্র খাতের কোম্পানি এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেড। সংগৃহীত অর্থে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, সাত বছর মেয়াদে অবসায়নযোগ্য এ করপোরেট বন্ডের সুদের হার নির্ধারিত থাকবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ব্যাংক, বীমা, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, অনিবাসী বাংলাদেশী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যুর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৫ টাকা ৩৬ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৩ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ শেষে এর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩২ পয়সা।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এইচআর টেক্সটাইল শেয়ারের সর্বশেষ দর ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ টাকা ২০ পয়সায়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৩০ টাকা ৬০ পয়সা ও সর্বোচ্চ দর ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা।
প্রাইড গ্রুপের রফতানিমুখী নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার এইচআর টেক্সটাইল ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভ ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১০ দশমিক ৬৪, বিদেশী ৪ দশমিক ১৭ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্যআয় (পিই) অনুপাত ৩২ দশমিক ৫৯, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ২৮ দশমিক শূন্য ৭।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।