facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ইপিএসধারী ছয় কোম্পানিতে বিনিয়োকারীদের ঝোক


০১ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার, ০৬:১৭  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ইপিএসধারী ছয় কোম্পানিতে বিনিয়োকারীদের ঝোক

মৌলভিত্তির দৌড়ে এগিয়ে থাকা কোম্পানির অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের ইপিএস বা শেয়ারপ্রতি আয় ভালো থাকা। ইপিএস ভালো থাকলে এসব প্রতিষ্ঠানকে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এসব কোম্পানি। বর্তমানে এ বিবেচনায় এগিয়ে থাকা শীর্ষ ছয়টি দেশীয় কোম্পানি হচ্ছে এসিআই, পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, স্কয়ার ফার্মা ও কনফিডেন্স সিমেন্ট।

প্রতিষ্ঠানগুলোর এপিএস যেমন ভালো, তেমনি রয়েছে ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার নজির। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থা ভালো; সেই সঙ্গে সন্তোষজনক লভ্যাংশ প্রদানের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে (বহুজাতিকবহির্ভূত) শীর্ষে রয়েছে এসিআই লিমিটেড। এ কোম্পানিটির বর্তমান ইপিএস ৮১ টাকা ৮৫ পয়সা। এর পরের অবস্থানে থাকা পদ্মা অয়েলের বর্তমান ইপিএস ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। এছাড়া যমুনা অয়েলের ইপিএস ১৭ টাকা ৭৪ পয়সা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১৭ টাকা ১০ পয়সা, স্কয়ার ফার্মা ১৭ টাকা ১৮ পয়সা, কনফিডেন্স সিমেন্ট ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারপ্রতি আয় যেমন সন্তোষজনক, তেমনি বছর শেষে এসব কোম্পানি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ প্রদান করে। সে কারণে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি থাকে বলে মন্তব্য করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশিদ লালী বলেন, বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ইপিএস, এনএভি ভালো অর্থাৎ ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির সঙ্গে থাকা। কারণ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তারা ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশা করতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, এসব কোম্পানিতে অপেক্ষাকৃত ঝুঁকি কম থাকে।

প্রতিষ্ঠানগুলো লভ্যাংশের দিকে তাকালে দেখা যায়, এসিআই লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সর্বশেষ ১২৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করে। এছাড়া পদ্মা অয়েল ও যমুনা অয়েল সর্বশেষ ১০০ শতাংশ করে লভ্যাংশ প্রদান করে। এদিকে মেঘনা পেট্রোলিয়াম শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রদান করে ১০৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ। এছাড়া স্কয়ার ফার্মা ৫০ শতাংশ এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট লভ্যাংশ প্রদান করে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে এসব কোম্পানির বেশিরভাগেরই শেয়ারপ্রতি মূল্য আয় অনুপাতও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর জের ধরে বর্তমানে এসব কোম্পানির শেয়ারদরও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

জানা যায়, যারা এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন তাদের বেশিরভাগই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী। কারণ তাদের প্রধান উদ্দেশ্য, এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি এড়ানোর পাশাপাশি বছর শেষে ভালো লভ্যাংশ পাওয়া। এর পাশাপাশি এসব কোম্পানি থেকে ভালো ক্যাপিটাল গেইন করা যায় বলে উল্লেখ করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে এক বিনিয়োগকারী বলেন, যারা ডে-ট্রেডার তাদের চেয়ে যারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেন তারাই বেশি লাভবান হতে পারেন। কারণ ডে-ট্রেডারার বেশি তাড়াহুড়া করে এক কোম্পানির শেয়ার থেকে অন্য কোম্পানিতে মুভ করেন। ফলে তাদের ঝুঁকি সব সময়ই বেশি থাকে। সেই তুলনায় মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ অনেক নিরাপদ। তিনি বলেন, আমি প্রতিবছরই কয়েকটি কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করি। এখান থেকে ভালো ফলও পায়।

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি বিনিয়োগ যেমন ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে, তেমনি এখান থোক ভালো ক্যাপিটাল গেইন করারও সুযোগ থাকে। কারণ ভালো শেয়ার নিয়ে অপেক্ষা করলে বছরের কোনো একটা সময় এখান থেকে সন্তোষজনক গেইন করা সম্ভব। ফলে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিতে ঝুঁকি নিয়ে অধিক লাভের আশায় না থেকে কম ঝুঁকি নিয়ে ভালো মানের কোম্পানিতে থাকাই শ্রেয়। আমি মনে করি, যেসব বিনিয়োগকারী ভালোমানের কোম্পানির শেয়ারের সঙ্গে রয়েছেন তাদের সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবিদার। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: