facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

‘স্বপ্নের দোকানে’ ঈদ পোশাক ফ্রি


১১ জুন ২০১৮ সোমবার, ০৯:১৬  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


‘স্বপ্নের দোকানে’ ঈদ পোশাক ফ্রি

ফুটপাতে নতুন পোশাক নিয়ে বসে আছেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের ডেকে তারা ঈদের পোশাক বেছে নিতে বলছেন। দরিদ্র শিশুরা প্রথমে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালেও পোশাক হাতে পাওয়ার পর তাদের কাছে বিষয়টি স্বপ্নের মতোই মনে হয়। কারণ পোশাকের জন্য কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না তাদের।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের আনন্দ দিতেই ‘স্বপ্নের দোকান’ নামের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী।

শনিবার রাজধানীর মিরপুর, মহাখালী, বাড্ডা, শনির আখড়া ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ১২টি স্থানে স্বপ্নের দোকান বসে, যেখান থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা নিজেদের ঈদের পোশাক বেছে নেওয়ার সুযোগ পায়।

স্বপ্নের দোকানের উদ্যোক্তা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে শিক্ষার্থী নাঈম অঙ্কন।

তিনি বলেন, “ঈদের সময় গরিব শিশুরা অর্থের অভাবে পছন্দের পোশাক কেনার সুযোগ পায়না। তাই আমরা চেয়েছি এই শিশুরা যাতে নিজের ঈদের জামা পছন্দ করে বেছে নিতে পারে।”

গতবছর রোজার ঈদে প্রথম এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলেন অঙ্কন। পরবর্তীতে ফেইসবুকে উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এগিয়ে আসেন। দেশ-বিদেশ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অনেকেই।

অঙ্কন বলেন, “গতবার নিজের টাকায় পোশাক বিলি করলেও এবার একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি, অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি স্পটে আমরা গড়ে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকার পোশাক নিয়ে বসেছিলাম।”

ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ‘স্বপ্নের দোকানের’ সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় নয়জন পুলিশ সদস্যও বসেছিলেন স্বপ্নের দোকানের বিক্রেতা হিসেবে।”

সাড়া ফেলা এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। শিশুদের জন্য পোশাক ও খেলনা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো ছাড়াও জন সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন জানিয়ে নাঈম অঙ্কন বলেন, “আমরা চাই সবাই এটুকু অন্তত অনুধাবন করুক, যে এরাও মানুষ, এরাও আমাদের মতো ঈদ উদযাপন করতে চায়। আমরা মানুষের মনে অন্যদের প্রতি মানবতা ও দরিদ্রদের জন্য মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চাই, চাই হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দিতে।

“ঈদের নতুন জামা হাতে নিয়ে শিশুদের হাসিমাখা মুখ দেখতে পাওয়াই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও আগামী দিনে কাজ করে যাওয়ারও প্রেরণা যোগায়।”

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: