facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইবনে সিনা


০৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার, ০২:০৮  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইবনে সিনা

নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ইবনে সিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ৬৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি প্লাস্টিক ও পলিমার পণ্য, পেট বোতল ইত্যাদি উৎপাদন ও বাজারজাত করবে।

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল। সে সময় কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানায়, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি গঠন করা হবে। গতকাল কোম্পানিটি জানিয়েছে, ইবনে সিনা পলিমারে তাদের ৬৫ শতাংশ বিনিয়োগ থাকবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইবনে সিনা পলিমারের অনুমোদিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন হবে ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ বা ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস। আর বাকি ৩৫ শতাংশ বা ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে ইবনে সিনা ট্রাস্ট। সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটিতে বিনিয়োগের বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

এ বিষয়ে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটিতে উৎপাদিত প্লাস্টিক ও পলিমার পণ্য এবং পেট বোতল দেশের বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কারখানা স্থাপন ও উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে আরো সময় লাগবে।

১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত ইবনে সিনার অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১১৬ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক, ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ইবনে সিনার বিক্রি হয়েছে ৩০৬ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ২৫৭ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বা ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ১৮ কোটি ৬২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৯৬ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইবনে সিনার বিক্রি হয়েছে ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ ২৬ হাজার টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ের ১২৪ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার তুলনায় ২৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৬১ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইবনে সিনা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট বিক্রি হয়েছে ৫২৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নিট মুনাফা হয়েছে ৩৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৫ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৪ টাকা ৪৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৩২ পয়সা, ২০১৮ হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৯ টাকা ২৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ইবনে সিনা শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৩৫ টাকা। সমাপনী দর ছিল ২৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৯২ টাকা ও ২৯০ টাকা ৯০ পয়সা।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: