রানার অটোমোবাইলের আইপিও শেয়ার বিও হিসাবে

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা রানার অটোমোবাইল লিমিটেডের লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসেবে জমা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে আজ ২৫ মার্চ (সোমবার) বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে। এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেলে শিগগিরই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

গত ৪ মার্চ সোমবার সকাল ১০ টায়, এজিবি কলোনী, মতিঝিল,ঢাকায় এ কোম্পানির আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন চলে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৩তম কমিশন সভায় কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

রানার ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার ৭৫টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। অবশিষ্ট ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৫টি শেয়ার ৬৭ টাকা করে (৭৫ টাকা থেকে ১০ শতাংশ কমে) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে।

এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই কমিশনের ৬৫০তম সভায় রানার অটোমোবাইলকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি বা বিডিংয়ের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা বিডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে বিডিংয়ে কোম্পানিটির শেয়ারের কাট অফ প্রাইস ৭৫ টাকা নির্ধারণ হয়েছিল। আইপিও’র টাকা দিয়ে কোম্পানিটি গবেষণা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচে ব্যয় করবে।

গত পাঁচ বছরে ভারিত গড় হরে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৩১ টাকা। ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৫৫.৭০ টাকা।