facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

বিনিয়োগযোগ্য ৯ ব্যাংক ঝুঁকিমুক্ত


১৬ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার, ০৮:০৬  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


বিনিয়োগযোগ্য ৯ ব্যাংক ঝুঁকিমুক্ত

তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ব্যাংক খাত। এ খাতের গড় শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০-এর নিচে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বিনিয়োগযোগ্য হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে এসব কোম্পানি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে এ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হল- প্রিমিয়ার ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, যমুনা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক।

প্রাপ্ত তথ্যমতে অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত পাঁচ দশমিক ৯৮। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পিই চার দশমিক ৯৫। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের পিই আট দশমিক ৭৫, যমুনা ব্যাংকের চার দশমিক ৯৭, সাউথইস্ট ব্যাংকের চার দশমিক ৬২, ইসলামী ব্যাংকের ছয় দশমিক ৫২, ব্যাংক এশিয়ার সাত দশমিক ৯১, এসিসি ব্যাংকের সাত দশমিক ৪৫ এবং উত্তরা ব্যাংকের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৪২ পয়েন্টে। নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পিই রেশিও আরও কম।

কিছুদিন আগেও ব্যাংক খাতের শেয়ারের চাহিদা ছিল না। নানা অনিয়মের কারণে এমনিতেই এসব শেয়ারের প্রতি অনিহা তৈরি হয়। যার জের ধরে পিই রেশিও কমে গিয়ে শেয়ারগুলো আরও বিনিয়োগযোগ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু তারপরও এ খাতে আগ্রহী হননি বিনিয়োগকারীরা। কারণ সর্বশেষ অর্থবছরে ভালো লভ্যাংশ না আসা সে সঙ্গে প্রথম প্রান্তিকে অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা কমে যাওয়ায় এসব শেয়ারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়। তবে বর্তমানে এ পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। দুর্বল কোম্পানির দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ায় ব্যাংক খাতে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এ খাত।

এ প্রসঙ্গে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, এখন ব্যাংকসহ তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বিনিয়োগের অনুকূলে রয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু ভালো শেয়ারের পিই রেশি খুবই কম। এর মধ্যে কিছু শেয়ারের রেশিও সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে গেছে। দেখে শুনে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করলে এখান থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বাজারের বর্তমান চিত্র পরিবর্তন হলে এসব কোম্পানির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।

সাধারণত ১৫-এর নিচে পিই রেশিও থাকলে সে শেয়ারকে ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। পিই রেশিও ২০ পার করলে সে শেয়ার ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর ৪০-এর ওপরে পিই রেশিও গেলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি এড়াতে ওই শেয়ারের মার্জিন ঋণ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বিবেচনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে সববেচয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ‘এন’ ক্যাটেগরির শেয়ার। বর্তমানে এসব কোম্পানির গড় পিই রেশিও অবস্থান করছে ৪০-এর ওপরে। লেনদেনের শুরুতেই এসব শেয়ার ক্রয় করার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। যার জের ধরে শেয়ারগুলো অতি মূল্যায়িত হচ্ছে এসব শেয়ার। যে কারণে প্রায় সবসময়ই এসব শেয়ারের গড় পিই রেশিও ৪০-এর ওপরে অবস্থান করে।

২০১৭ সালজুড়ে ব্যাংকে আগের তুলনায় ঋণপ্রবৃদ্ধি বেশি ছিল। আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম থেকেও ভালো কমিশন আয় হয়েছে। তবে ফারমার্সসহ কয়েকটি ব্যাংকের জালিয়াতির তথ্য ফাঁস ইস্যুতে অস্বস্তি ছিল আমানতকারীদের মধ্যে। যার জের ধরে শেষ ছয় মাসে আমানতের সুদ বেড়েছে। পুঁজিবাজার থেকেও ভালো আয় হয়নি। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতের নিট মুনাফায় মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সরকাররি ব্যাংকের নিট মুনাফা বাড়লেও কমেছে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের। তবে এস বছর খাতটি নিয়ে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিমত এ বছর তারা খাতটি থেকে ভালো রিটার্ন পাবেন। সে কারণে তারা এ খাতে ঝুঁকেছেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: