২২ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার, ০৬:০০ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
সিরাজগঞ্জে ধর্ষিতা এক কিশোরীর বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলার বেলকুচিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী এক কিশোর। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য মাতব্বররা তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও উভয়ের বয়স কম হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি। এদিকে বিয়ে না দেওয়ায় শুক্রবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী।
স্থানীয়রা জানায়, বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর সামান্যপাড়ার ওই কিশোরীর (১৬) সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল ফরিদের ছেলে ধুকুরিয়াবেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহিমের (১৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় অবাধে যাতায়াত ছিল উভয়ের বাড়িতে। এরই এক পর্যায়ে রহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরী বিয়ের দাবিতে রহিমের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে শুক্রবার রাতে গ্রাম্য সালিশে উভয়ের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার কথা পাকাপাকি হয়।
এদিকে বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল হাসান ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাইছুর রহমান সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে ওই কিশোরীর মা জানান, প্রায় ৪ বছর আগে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অভাবের সংসারে ৬ সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছেন।
অন্যের বাড়িতে কাজ করে তিনি সংসার চালান। তার অনুপস্থিতিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে রহিম।
বিষয়টি জানাজানি হলে মাতব্বররা বিয়ের ব্যবস্থা করে। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে বিয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ দেন।
এতে ক্ষোভ ও অভিমানে তার মেয়ে রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সারারাত জেগে তিনি মেয়েকে পাহাড়া দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।