facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারে পাল্টে যাবে পুঁজিবাজার


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার, ০২:৩৬  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারে পাল্টে যাবে পুঁজিবাজার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার হতে চাইছে চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম এবং ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফ্রন্ট্রিয়ার ফান্ড বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাকের কনসোর্টিয়াম। ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় চীনের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামকেই অংশীদার হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবকারী ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (এনএসই) কনসোর্টিয়াম কৌশলগত অংশীদার হতে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, দেশের পুঁজিবাজার ও স্টকহোল্ডারদের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিএসইর কৌশলগত অংশীদার নির্বাচনে কোন আপোস করা যাবে না। যে কৌশলগত অংশীদার ডিএসইকে একটি বিশ্বমানের এক্সচেঞ্জ হতে সাহায্য করবে তার ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা বলেন, উপযুক্ত কৌশলগত অংশীদার হলে ডিএসইতে দেশি-বিদেশি কোম্পানির তালিকাভুক্তির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আরও আস্থাশীল হয়ে উঠবে। এছাড়া কৌশলগত অংশীদার এলে ঢাকার বাজারে পণ্যের ভিন্নতাও বাড়বে।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতির তুলনায় পুঁজিবাজার পিছিয়ে আছে। এক্ষেত্রে ডিএসইর কৌশলগত অংশিদার পুঁজিবাজারের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হবে। তবে বেস্ট কনসোর্টিয়ামকে আমাদের বেছে নিতে হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এটা করতে হবে। এখানে আপোস করা উচিত হবে না। পুঁজিবাজারের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, কৌশলগত অংশীদার বিজনেস তৈরী করবে। টার্নওভার না বাড়াতে পারলে তাদের পোষাবে না। মূল কথা, তাদের অংশগ্রহণে লেনদেনের পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।

জানা গেছে, চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম প্রতিটি ২২ টাকা দরে ৯৯০ কোটি টাকায় ডিএসইর ৪৫ কোটি বা ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছে। তাদের একজন প্রতিনিধি ডিএসইর পর্ষদে বসবে। এছাড়া ডিএসইর কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা (৩৭ মিলিয়ন ডলার) খরচ করতে চায় তারা। এসব কারিগরি প্রযুক্তির জন্য ১০ বছরের লাইসেন্স এবং তিন বছরের ট্রেনিং ও কনসাল্টিং সার্ভিস সম্পূর্ণ ফ্রি দেবে তারা। এর বাইরে বেশ কিছু পণ্য ও বাজার উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেবে তারা। অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (এনএসই) কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার প্রতিটি ১৫ টাকা দরে কিনতে প্রস্তাব দেয়।

এই কনসোর্টিয়ামে ইকুইটি পার্টনার হিসেবে থাকা ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড ফ্রন্টিয়ার ফান্ড বাংলাদেশ এলএলপির বিনিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চিত। ফ্রন্টিয়ার ফান্ড তাদের জন্য নির্ধারিত ৩ শতাংশ শেয়ার কিনতে না পারলে এনএসই নিজে কিংবা ডিএসইর কাছে গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে সেটি বিক্রির কথা বলা হয়েছে। এনএসই কনসোর্টিয়াম তাদের কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত প্রস্তাবে বলেছে, ফিউচার ও অপশনস, এসএমই, ইটিএফ, বন্ড কারেন্সি ডেরিভেটিভস ইত্যাদি পণ্য প্রচলন, গভর্ন্যান্স ও রেগুলেটরি উন্নয়ন, টেকনোলজি সার্ভিস ও কানেক্টিভিটি এনওডব্লিউ, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম, কো-লোকেশন, সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা, শিক্ষাসংক্রান্ত কার্যক্রম, ইনডেক্স ও ডাটা বিজনেস, ক্লিয়ারিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উদ্যেগ নেওয়ার কথা বলেছে। এজন্য তারা ডিএসইর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। যা নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে দেয়া হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: