১৮ জুন ২০১৮ সোমবার, ১১:৫৫ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আর্থিক প্রতিবেদনে গোজামিল থাকলেও অনেক কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিও অনুমোদন নিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো বিএসইসির ওপর অনৈতিক চাপ দেয় বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান।
অনেক কোম্পানির আইপিও প্রাথমিক বাছাইয়ে বাতিলের পর তদবির করে নতুন করে অনুমোদন নিচ্ছে। এর মধ্যে আমান কটনের আইপিওর আর্থিক প্রতিবেদনে গোজামিল পায় বিএসইসি। প্রাথমিক পর্যালোচনায় এ কোম্পানির আইপিও বাতিল করে বিএসইসি। অভিযোগ রয়েছে- ইস্যু রেজিস্টার কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চাপে আমান কটনের আইপিও অনুমোদন দিতে বাধ্য হয় বিএসইসি। এদিকে আমান কটনের আইপিও বাতিলে বিনিয়োগকারীরা আবেদন জানালেও বিএসইসি তাতে কর্নপাত করেনি।
এর আগে ভূমি-সংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতি করায় আমান কটন ফেব্রিক্স কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের আবেদন বাতিল করেছিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে এ অপরাধে আমান কটন ফেব্রিক্স কোম্পানি এবং ইস্যু ম্যানেজারকে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল কমিশন।
২০১৪ সালে এ বিষয়ে কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জমির মিউটেশন, ডিসিআর এবং খাজনা পরিশোধের রসিদ জাল করার মাধ্যমে কোম্পানিটি পাবলিক ইস্যু বিধিমালা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৮ ধারা ভঙ্গ করেছে। এ ছাড়া যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই না করে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চয়তাপত্র দেওয়ায় ইস্যু ম্যানেজার দুই প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা এবং সতর্ক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, `কমিশনের অনুসন্ধানে জমির মিউটেশন সংক্রান্ত যে নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল, তা স্পষ্টতই জাল ছিল। এ কারণেই কমিশন কোম্পানিকে জরিমানা করেছে।`
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।