facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

কনস্টেবল স্বামীকে আটকের পর থানায় দিলেন স্ত্রী


২৮ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার, ০৫:২৬  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


কনস্টেবল স্বামীকে আটকের পর থানায় দিলেন স্ত্রী

যৌতুক মামলার আসামি পুলিশ কনস্টেবল স্বামী শাহীন মিয়াকে আটক করে থানায় দিয়েছেন তার স্ত্রী রিক্তা বেগম।

গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরেও এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে টালবাহানা শুরু করায় রিক্তা এ কাজ করেন।

শুক্রবার ভোরে এ ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে থানা থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নামাজখালি এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে রিক্তা বেগমের সঙ্গে ৬ বছর আগে একই উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের মুত আব্দুল হক মন্ডলের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শাহীন মিয়ার (২৭) বিয়ে হয়। বর্তমানে তার দুই সন্তান রয়েছে।

রিক্তা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই ২ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে শাহীন মিয়া তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে। ৩ মাস আগে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তার স্বামী তাকে দুই সন্তানসহ বাবার বাড়ি বগুড়া শহরের সুত্রাপুর পার্ক রোড এলাকার বাসায় রেখে চলে যায়। এরপর কোনো যোগাযোগ না রাখলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে হঠাৎ করেই তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাবার বাড়িতে আসে। এরপর কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে তাকে বেদম মারপিট করে। পরে তিনি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।

এদিকে এ ঘটনার পর রিক্তা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলার তদন্ত ভার দেয় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)। পিআইবির তদন্তকারি কর্মকর্তা সাকিউল আযম তদন্ত শেষে অনুসন্ধান প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। তদন্তকালে রিক্তাকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

পিআইবির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রায় ১৫ দিন আগে পরোয়ানা জারি হলেও বগুড়া সদর থানা পুলিশ কনস্টেবল শাহীন মিয়াকে গ্রেফতারে টালবাহানা শুরু করে। এরপর স্ত্রী রিক্তা নিজেই উদ্যোগী হয় স্বামীকে আটক করার। শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় আসলে রিক্তা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ কনস্টেবল শাহীন মিয়া বর্তমানে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন। থানায় কনস্টেবল শাহিন মিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন তিনি তার স্ত্রীকে মারধর করেননি। এমনকি ২ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করেননি। তিনি ষড়যন্ত্রেও শিকার।

এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি তদন্ত আসলাম আলী জানান, শাহীন মিয়াকে তার স্ত্রী থানায় সোপর্দ করেছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: