facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদার সিম উদ্ধার


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বুধবার, ০৯:৪৩  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদার সিম উদ্ধার

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুনের সাড়ে আট মাস পর ব্যবহৃত মোবাইলের সিমটি উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার ভোলার লালমোহন এলাকার এক রিকশাচালকের কাছ থেকে সিমটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। গত ২৬ জানুয়ারি মাহমুদার মা-বাবা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে মাহমুদার ব্যবহৃত সিমটি সচল রয়েছে জানিয়ে তা উদ্ধারের অনুরোধ করেছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে বলেন, কয়েক মাস আগে নগরের বাকলিয়া এলাকায় আবদুল মান্নান নামের এক রিকশাচালক রাস্তায় সিমটি কুড়িয়ে পান। পরে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহনে চলে যান। পরে গ্রামীণফোন অপারেটরের সিমটি তিনি ব্যবহার শুরু করেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর কাছ থেকে সিমটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মাহমুদার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। রিকশাচালকের কাছ থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে নগরের লালদীঘি এলাকায় তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাহমুদার ব্যবহৃত ফোনটি সচল রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে সেটিতে ফোন করা হলে এক অটোরিকশাচালক ফোন ধরেন। ফোনটি সেই চালক হাতিরঝিলে পেয়েছেন বলে তাঁকে জানান। মোবাইলটি উদ্ধার করতে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন।

গত বছরের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানমকে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার (তখন পুলিশ সুপার ছিলেন) অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এরপর ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে আবার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’

গত ২ জানুয়ারি বাবুলের বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও মা শাহেদা ওয়াদুদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাবুল আক্তার এবং ২২ ডিসেম্বর মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনার ২১ দিন পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে দুই আসামি আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে খুনের বিস্তারিত উঠে এলেও কার নির্দেশে খুন করা হয়েছে, তা বেরিয়ে আসেনি। কামরুল শিকদার ওরফে মুছাকে গ্রেপ্তার করা গেলে খুনের নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: