১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার, ১১:৫৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেডকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়ার খবর প্রকাশিত হয় গত ২০ মে। আর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়ার কারণে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় বাড়ানো হয় আর মার্জিন সুবিধাও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে একদিনেই কোম্পানির শেয়ার দরে ব্যাপক দরপতন হয়। শেয়ার দর ২০০ টাকা থেকে ১৬২ টাকায় নেমে যায়। মূলত কোম্পানিটি রেকর্ড ডেটের পরবর্তী ৪৫ দিনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। যে কারণে টানা দর বৃদ্ধি পেয়ে আবার ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে ইষ্টার্ণ ক্যাবলস। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০৮ টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।
জানা যায়, ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোম্পানির ঘোষিত ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ডের রেকর্ড ডেট গত ৩০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স,১৯৬৯ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী, রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি কোম্পানিকে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে।
কিন্তু রেকর্ড ডেট নির্ধারণের ৪৫ দিনের মধ্যে এজিএম করেনি ইস্টার্ন ক্যাবলস। ডিএসই’র পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোম্পানিকে কারণে দর্শানোর নোটিশ জানানো হয়। নোটিশের জবাবে কোম্পানি বিএসইসি’র কাছ থেকে এজিএম রেকর্ড ডেটের ৪৫ দিন পর অনুষ্ঠিত করার জন্য কোনো অনুমোদন নেয়নি। কোম্পানির এই উত্তরের জবাবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ গত ২০ মে ইষ্টার্ণ ক্যাবলসকে আইন পরিপালন না করার জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে নামিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠিয়ে দেয়।
এখন কোম্পানির অসমাপ্ত এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ জুন সকাল ১১টায়, ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গন, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমের পর সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে ডিভিডেন্ড পাঠানোর পরপরই কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পুনরায় পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ ইষ্টার্ণ ক্যাবলসকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে। যে কারণে সম্প্রতি ইষ্টার্ণ ক্যাবলসের শেয়ার দর বাড়ছে।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইস্টার্ন ক্যাবলসের অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি টাকা। এর রিজার্ভ ও সারপ্লাসের পরিমাণ ৪৯ কোটি টাকা। এর মোট ২ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের মধ্যে স্পন্সর পরিচালকদের হাতে রয়েছে ০.০১ শতাংশ, সরকারের কাছে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৩.৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৫.৪৯ শতাংশ শেয়ার।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।