facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ঋণ পরিশোধে নগদ টাকা না দিলে ফোর্সসেল, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা


১২ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার, ০৩:৪০  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


ঋণ পরিশোধে নগদ টাকা না দিলে ফোর্সসেল, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের বেশকিছু সিকিউরিটিজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের লোন পরিশোধ করার জন্য চিঠি পাঠাচ্ছে। পূর্বের ঋণ সমন্বয় করার জন্য অনতিবিলম্বে হাউজে টাকা জমা দিতে হবে। নগদ টাকা না থাকলে পোর্টফলিওর শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নইলে হাউজ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী শেয়ার বিক্রি (ফোর্সসেল)করে পাওনা আদয়ে বাধ্য হবে। হাউজগুলোর এরকম চিঠি পেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বেশকিছু হাউজ থেকে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সমন্বয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঋণের সুদ ও বিভিন্ন চার্জ পরিশোধ করার বিষয়গুলো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে পোর্টফলিওর ইক্যুইটিতে যে মাইনাস রয়েছে তা সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করা যেতে হবে। এদিকে হাউজগুলোর এরকম চিঠিতে বিপাকে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, হাউজ থেকে ফোন করে বলা হচ্ছে যদি টাকা না দেই বা নিজেরা শেয়ার বিক্রি না করি তাহলে তারা ফোর্সসেল করে দেবে।

উল্লেখ্য, মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুলস ৩ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, যখনই ইক্যুইটি ক্লায়েন্টের মার্জিন অ্যাকাউন্ট ডেবিট ব্যালেন্সের ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে তখন হাউজগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য ক্লায়েন্টকে অবহিত করবে। যাতে কোনোভাবেই ইক্যুইটি মার্জিন ঋণের ১৫০ শতাংশের কম না হয়। হাউজ কর্তৃপক্ষের ক্লায়েন্টের প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠির ৩ দিনের মধ্যে নগদ অর্থ কিংবা মার্জিনেবল সিকিউরিটিজ দিয়ে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয় করবে। যে পর্যন্ত ইক্যুইটি সন্তোষজনক অবস্থায় না আসে সে পর্যন্ত ক্লায়েন্টের লেনদেন বন্ধ থাকবে।

আইনে হাউজগুলোর টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা থাকলেও এই আইনটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কমিশনের এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিনিয়োগকারীদের ফোর্সসেলের চিঠি পাঠাচ্ছে হাউজগুলো।

বেশকিছু হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিনিয়োগকারীদের ঋণ সমন্বয়ে চিঠি না পাঠালে হাউজগুলো অস্তিত্ব টিকে থাকবে না। এ কারণে ব্যবসায় টিকিয়ে রাখা ও ব্যাংকগুলোর চাপ কমাতে বিনিয়োগকারীদের চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক হাউজের মালিকপক্ষ। ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ লোন দেয়া হয়েছে সেটা পরিশোধ করার জন্য ব্যাংকগুলো চাপ দিচ্ছে। বিগত বছরের মন্দায় নিজেদের ফান্ডও খালি হয়ে গেছে। বাধ্য হয়েই বিনিয়োগকারীদের চিঠি দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত অনেক বিনিয়োগকারী ফোর্সসেলের আওতায় থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনায় তা করা হচ্ছে না। কিন্তু এখন নিজেদেরই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই চিঠি দিতে হচ্ছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: