facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

উন্নয়ন কাজের বিল থেকে টাকা কাটলেন প্রকৌশলী!


১৪ জানুয়ারি ২০১৭ শনিবার, ০৯:০০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


উন্নয়ন কাজের বিল থেকে টাকা কাটলেন প্রকৌশলী!

ডামুড্যার একটি সড়কের উন্নয়ন কাজের এলজিইডির প্রস্তুতকৃত নির্ধারিত ফরমেটে রেট সিডিউলে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিল থেকে দেড় লাখ টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল (উকিল) নোটিসের মাধ্যমে লিখিত জবাব চেয়েছে মেসার্স মাদবর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

গত ৯ জানুয়ারি শরীয়তপুর জজকোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বাবুল ঢালী স্বাক্ষরিত একটি লিগ্যাল (উকিল) নোটিস নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর প্রেরণ করা হয়। শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একটি লিগ্যাল নোটিস পেয়েছে মর্মে সত্যতা স্বীকার করেছে।
 
লিগ্যাল নোটিশ ও আর কে কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী রুবেল খান জানান, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে প্রায় ২ হাজার মিটার বিটুমিনিয়াজ কার্পেটিং (বিসি দ্বারা) উন্নয়ন কাজের জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ১৭ হাজার ৮শ ২৫ টাকা মূল্যে শরীয়তপুর এলজিইডি টেন্ডার আহ্বান করে।

মেসার্স মাদবর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাঁচ শতাংশ নিম্মদরে এবং লটারির মাধ্যমে কাজটি পায়। পরে ঐ কাজটি মেসার্স আর কে কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী রুবেল খান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করেন।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন এ কাজের নির্ধারিত ফরমেটে রেট সিডিউলে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে ওভার মেপেন্ট করে সরকারি অর্থের অপচয় এবং কাজের চূড়ান্ত বিল থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত কর্তন করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতিসাধন করে। ফলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ১০ ডিসেম্বর ’১৬ তারিখের মধ্যে কেন তাকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়া হবে না মর্মে জবাব চেয়ে তার আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বাবুল ঢালী স্বাক্ষরিত একটি লিগ্যাল নোটিস শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনের বরাবর প্রেরণ করেণ।

নির্ধারিত সময়ে শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী  সাজ্জাদ হোসেনে লিগ্যাল নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ৯ জানুয়ারি আরো একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এবং আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এ ব্যাপারে আর কে কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী রুবেল খান বলেন, শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন নিজে আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য তার পছন্দের ঠিকাদারদেরকে দিয়ে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া কাজ করায়।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন এর কাছে দুইটি উকিল নোটিশ পাঠিয়ে এ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি নিচ্ছি।

শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি উকিল নোটিশ পেয়েছি। এখন আমি ব্যস্ত আছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: