বর্তমানে বিনিয়োগের বিশ্বে সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে স্টক মার্কেট বা শেয়ার বাজার। অথচ বহু মানুষ এখনও বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পান। ভাবেন, এই বুঝি লোকসান হল। আর ভয় পাওয়াটাও স্বাভাবিক। একটু ভুল হলেই কষ্টার্জিত পয়সা অথৈ জলে। তা হলে উপায়? খানিক অঙ্ক কষে বিনিয়োগ করলেই এই ভয় কেটে যেতে পারে।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক নতুন বিনিয়োগকারীদের একটা প্রশ্ন থাকে যে কমপক্ষে কত টাকা বিনিয়োগ নিয়ে শুরু করা যাবে, এক্ষেত্রে আপনি সেকেন্ডারি মার্কেটে যেকোন পরিমাণ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন তবে আইপিও( প্রাথমিক বাজার) এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকার বাজার মূল্যে সেকন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে।
এখন শেয়ারবাজারে মন্দাভাব চলছে। লেনদেন নেমেছে তলানিতে। তাতে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কমে গেছে বাজারে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী থেকে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারী—সবার মধ্যেই এখন দুশ্চিন্তা। বাজারের এ অবস্থায় কি করবেন—সবার মধ্যেই যেন একই প্রশ্ন। তবে বিশ্লেষকেরা বলেন, মন্দাবাজারও কখনো কখনো নতুন সুযোগ তৈরি করে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে ঝুঁকি নিতে হয়।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে যদি না জেনে, না বুঝে কেউ বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। শেয়ারবাজারের এ ঝুঁকি টাকা হারানোর। এই ঝুঁকির বিপরীতে আছে বেশি মুনাফার সম্ভাবনাও। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে বিনিয়োগের আগে জানতে হবে কিছু বিষয়ে।
বিচার-বিশ্লেষণ ও বুদ্ধিমত্তা প্রকাশের ক্ষেত্র হলো পুঁজিবাজার। বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে শেয়ারবাজার থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব। আর বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ইনডেক্স ইনভেস্টিংয়ের জনক জন সি বোগল। তাকে উৎসর্গ করে ২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক সম্মেলন। তথাকথিত বাজার বিশ্লেষকদের কেউ এ সম্মেলনের আয়োজন করেননি।
শেয়ারবাজারে যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের সবার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেওয়া খুবই জরুরি। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল-
এমন একটি ব্যবসার কথা চিন্তা করুন যে ব্যবসাতে দৈনিক এক ঘণ্টারও কম সময় ব্যয় হয়, যে ব্যবসায়ের জন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন নেই, যে ব্যবসা অপেক্ষাকৃত কম সময়ে শেখা যায় এবং যেখান থেকে নিয়মিতভাবে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব, তাহলে এমন একটি ব্যবসা অপেক্ষা ভালো ব্যবসা কি অন্য কোথাও রয়েছে?
প্রকৃত অর্থনীতি যখন নাজুক, তখন কেন শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ছে কিংবা এর মূল্যমান ঊর্ধ্বমুখী? এক্ষেত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার যে চলমান সংকট ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নিম্ন আয়ের সেবাকর্মীদের অসমানুপাতিক হারে বেশি ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্বের শেয়ারবাজার ও আর্থিক খাতে ধস নেমেছে। আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা কোনো বাছবিচার ছাড়াই তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। পতন ঠেকাতে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।