শেয়ারবাজারে যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদের সবার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেওয়া খুবই জরুরি। যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল-
এমন একটি ব্যবসার কথা চিন্তা করুন যে ব্যবসাতে দৈনিক এক ঘণ্টারও কম সময় ব্যয় হয়, যে ব্যবসায়ের জন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন নেই, যে ব্যবসা অপেক্ষাকৃত কম সময়ে শেখা যায় এবং যেখান থেকে নিয়মিতভাবে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব, তাহলে এমন একটি ব্যবসা অপেক্ষা ভালো ব্যবসা কি অন্য কোথাও রয়েছে?
প্রকৃত অর্থনীতি যখন নাজুক, তখন কেন শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ছে কিংবা এর মূল্যমান ঊর্ধ্বমুখী? এক্ষেত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার যে চলমান সংকট ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নিম্ন আয়ের সেবাকর্মীদের অসমানুপাতিক হারে বেশি ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্বের শেয়ারবাজার ও আর্থিক খাতে ধস নেমেছে। আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা কোনো বাছবিচার ছাড়াই তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। পতন ঠেকাতে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়েছেন। যা তুলে ধরা হল
পার্মান্যান্স অব অবজেক্ট বলে একটা কথা আছে—বস্তুর নিত্যতা। ধরা যাক এখানে একটা বালুর উঁচু ঢিবি দেখা গেল। তাহলে নিশ্চিত বলা যাবে, কোথাও থেকে সেই বালু কেটে আনা হয়েছে।
১. ঋণকে না বলুন, চিন্তামুক্ত থাকুন
দীর্ঘ সময় থেকেই ওয়ারেন বাফেট তাঁর কম্পানি বার্কশেয়ার হেথাওয়ের বিনিয়োগকারীদের বলে আসছিলেন শেয়ারবাজারে দাম বাড়ল কি কমলো এ নিয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
মার্কিন উদ্যোক্তা, স্টক ব্রোকার-রিসার্চার ও লেখক উইলিয়াম জে ও’নেইলের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ইনভেস্টর বিজনেস ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই তার সাফল্য নিয়ে বিনিয়োগ মহলে আলোচনা হয়।
বন্ধু, প্রতিবেশী বা সহকর্মী শেয়ারবাজার থেকে ভালো মুনাফা করছেন। সেটি দেখেই সিংহভাগ সাধারণ মানুষ শেয়ারবাজারে আসে।