facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ মে শনিবার, ২০২৪

Walton

১১ সপ্তাহ পর ইতিবাচক প্রবণতায় পুঁজিবাজার


০৪ মে ২০২৪ শনিবার, ০৮:১৩  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


১১ সপ্তাহ পর ইতিবাচক প্রবণতায় পুঁজিবাজার

 

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স টানা ১১ সপ্তাহ পর গত সপ্তাহে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ গত জানুয়ারির বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ইতিবাচক ছিল। এর পর থেকে এটি নিম্নমুখী। তবে গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২২৮টির, কমেছে ১৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৭টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৭০৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৫৫৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ১১ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল জীবন বীমা, ভ্রমণ ও বস্ত্র। এ তিন খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৯, ৬ দশমিক ৯ ও ৪ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে কেবল মিউচুয়াল ফান্ড ও প্রকৌশল খাতে। এ দুই খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৪ ও দশমিক ৪ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৮১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৬৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ১৮৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮২ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির বাজারদর।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: