facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ০৩ মে শুক্রবার, ২০২৪

Walton

সূচকপতনে সবচেয়ে বেশি অবদান দুর্বল কোম্পানির সঙ্গে মৌলভিত্তিরও


২০ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার, ১০:৩৩  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


সূচকপতনে সবচেয়ে বেশি অবদান দুর্বল কোম্পানির সঙ্গে মৌলভিত্তিরও

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। তবে এ সময় ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৮৬৪ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৩২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ২৮২ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ২৮৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৭টির।

গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বীকন ফার্মা, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকার টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ১ হাজার ৯১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ২ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪৭৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৪৩৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ভ্রমণ খাত বাদে সব খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। ভ্রমণ খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিরামিক, কাগজ ও সাধারণ বীমা খাত। এসব খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ১ শতাংশ, ৭ শতাংশ, ৫ দশমিক ৪ ও ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৭৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১০ হাজার ৫৯ পয়েন্টে।

সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২১১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: