facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

সঞ্চয়পত্রে ফের জনসাধারণের ঝোঁক


৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার, ১২:৪৯  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


সঞ্চয়পত্রে ফের  জনসাধারণের ঝোঁক

করোনাভাইরাসে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকে আমানতের সুদহারে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনসাধারণের ঝোঁক বাড়ায় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি আবারও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ১৪৮ শতাংশ বেড়েছে।

 

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৬২ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

 

এক বছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি বেড়েছে ৬ হাজার ৯৬৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।

চলতি প্রথম প্রান্তিকে মোট সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ সময়ে সরকার সঞ্চয়পত্রধারীদের সুদবাবদ পরিশোধ করেছে ৭ হাজার ৭০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, দেশে এই মুহূর্তে নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ না থাকার কারণেই মুনাফার ওপর করের হার বৃদ্ধি এবং নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপের পরও সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে।  

 

সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার এখন জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করেছে। ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের হার কম এবং পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দার কারণে গত কয়েক বছর ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সঞ্চয়পত্র বিক্রি। এতে সরকারের ঋণের বোঝাও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছিল। বিক্রির চাপ কমাতে গত বছরের ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।

 

একইসঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্ত আরোপসহ আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে কমতে শুরু করে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। কিন্তু এখন তা আবার বাড়ছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশ কার্যকরের কারণে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসে। এমনকি কোনো কোনো ব্যাংক আমানতে মাত্র ২ শতাংশ সুদ দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। অপরদিকে সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১২ শতাংশ থাকায় ১০ শতাংশ কর দিয়েও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক বাড়ছে।  

 

চলতি সেপ্টেম্বরে সঞ্চপত্রের নিট বিক্রি ছিল ৪ হাজার ২০৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ সময়ে সঞ্চয়পত্রধারীরা ৩ হাজার ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা সুদ বাবদ পেয়েছেন। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়তে দেখা গেছে। যেখানে আগের বছর তা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ৩৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: