facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ মে সোমবার, ২০২৪

Walton

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবি


০৯ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ০১:৪৪  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিড়ি শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) বেলা ১১ টায় বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো হলো বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, নকল বিড়ি বাজারজাত বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা।

মানববন্ধন শেষে বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা, জসিম উদ্দিন প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগীতায় বাধ্য করা হচ্ছে। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিড়িতে অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একইসাথে বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে একদিকে সরকার বছরে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর অন্যদিকে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নকল বিড়ি বাজারজাত বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

শ্রমিকরা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম। তারা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: