facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ফের ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন খলিলুর রহমান


২৪ মার্চ ২০২৪ রবিবার, ০৪:৩৫  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


ফের ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন খলিলুর রহমান

আগামী ২০ রোজা পর্যন্ত আবারও ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খলিল গোস্ত বিতানের মালিক খলিলুর রহমান সাময়িক সময়ের জন্য পুরোনো দামে ফেরত যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ওই দোকানে মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান বলেন, আগামী ২০ রোজা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করব। তবে প্রতিদিন ২০টির বেশি গরু জবাই দেব না। সকাল সাতটা থেকে শুরু করে বেলা তিনটা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করা হবে। এরপর দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিক্রেতা আরও বলেন, আমি কথা দিয়েছিলাম রোজায় ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করব। পরে গরুর দাম বেশি পড়ায় আমিও মাংসের দাম বাড়িয়েছিলাম, তাতে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। এখন আগের কথায় ফিরে গেলাম। ২০ রোজা পর্যন্ত আগের দামেই মাংস বিক্রি করব।

সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমানের পাশাপাশি মিরপুরের মোহাম্মদ উজ্জ্বল ও পুরোনো ঢাকার নয়ন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তারাও সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গরুর মাংসের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ৬৬৪ টাকা।

মোহাম্মদ উজ্জ্বল বলেন, রমজানের মধ্যে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন গরুর দাম বেশি পড়ছে। ফলে কেজিতে ৩৫ টাকা বৃদ্ধি করতে হয়েছে। তবে রমজানের বাকি দিনগুলো ৬৩০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করব। সরকারি দামের চেয়ে এখনো দাম কম আছে। আশা করি আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

পুরোনো ঢাকার নয়ন আহমেদ জানান, তিনি প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করেন ৫৭০ টাকায়। আর বাছাই করা মাংসের দাম পড়ে ৬৫০ টাকা। তিনি বলেন, বাজারে অনেক ব্যবসায়ী বেশি দাম গরু কিনছেন। ফলে আমাকেও বাড়তি দামে গরু কিনতে হচ্ছে। তাই এই দামের মধ্যে মাংস বিক্রি করা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। তারপরও রমজান মাসে এই দাম অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের কারণ সম্পর্কে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, তারা গরুর মাংসের বিক্রেতাদের ব্যবসার প্রচারণার জন্য ডেকে আনেননি কিংবা তাদের সংবাদ সম্মেলনে আসার জন্য চাপও দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীরা গরুর মাংসের বাজারে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। তবে এখন নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাদের কথা শুনতে চেয়েছি। মাংসের দাম তারা নিজেরাই নির্ধারণ করবেন। ব্যবসা তাদের, লাভ লোকসানও তাদের।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আরো বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সব ব্যবসায়ীর জন্য বার্তা স্পষ্ট, কৃষি বিপণনের নির্ধারিত দামের মধ্যে থেকে মাংস বিক্রি করুন। এই তিন ব্যবসায়ী পারলে, এটা সবার পক্ষে সম্ভব। এসব ব্যবসায়ী যেভাবে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, সব ব্যবসায়ীকে এভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে বাজারে স্বস্তি আসবে।

বাজারে এখন গরুর মাংস কেজিপ্রতি কম-বেশি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তখন কম দামে মাংস বিক্রি করে প্রথম আলোচনায় আসেন খলিলুর রহমান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সম্প্রতি বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ব্যবসায়ীকে ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: