facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

আইএফআইসি ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ: মিলছে না ক্ল্যু


২৫ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার, ১০:২৬  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


আইএফআইসি ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ: মিলছে না ক্ল্যু

ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স (আইএফআইসি) ব্যাংক লিমিটেডের করপোরেট কমিউনিকেশন্স ও ব্র্যান্ডিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদকে অপহরণের কোনো ক্ল্যু খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, শামীমের মোবাইলের কললিস্ট পর্যালোচনা করে অপহরণকারীদের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে।

শামীম আহমেদের স্ত্রী শিল্পী আহমেদের অভিযোগ, ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে পুরানা পল্টনে আইএফআইসি ব্যাংকের পেছন থেকে সাদা মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে শামীম আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ।

এ বিষয়ে তদন্ত করছেন পল্টন থানার সাব ইনস্পেক্টর (এসআিই) সাইদুল ইসলাম। তিনি অর্থসূচককে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে উদ্ধারের জন্য আপরা তৎপর রয়েছি। কিন্তু এখনও শামীম আহমেদের বর্তমান অবস্থান ট্রেস করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে ফাইন্ড আউটের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, তদন্তের জন্য যা করণীয় সব কিছুই করা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কললিস্ট হাতে না পেলে কোনো ক্ল্যু বা পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কললিস্ট পেতে দেরি হওয়ায় তদন্ত পিছিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তার।

সাইদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে জমি কিনে কমিউনিটি সেন্টার করার জন্য কাজ করছে। সেখানে জমি নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে কি-না এসব বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার কর্মস্থল ব্যাংকেও তেমন কোনো ক্ল্যু পেলাম না।

তিনি বলেন, তিনি না-কি ‘খানা বাসমতি’ রেস্টুরেন্টে খান না। সেদিন কেন খেতে যাচ্ছিলেন; কিভাবে অপহরণ করা হলো; সব জট খুলে যাবে যখন তার পুরো মোবাইলের কললিস্ট হাতে আসবে। ইতোমধ্যে তার টেলিটক নম্বরের কললিস্ট হাতে এসেছে। কিন্তি তিনি যে নাম্বারটা বেশি ব্যবহার করতেন সেটির লিস্ট এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।

নিখোঁজের পর ওই দিনই পল্টন মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শামিম আহমেদের স্ত্রী শিল্পী আহমেদ। তিনি অর্থসূচককে বলেন, ওইদিন দুপুরে খাবারের জন্য তিনি (শামীম আহমেদ) অফিস থেকে বের হন। অফিসের পাশে ‘খানা বাসমতি’ রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা। কিন্তু মাঝামাঝি স্থান থেকে কয়েকজন তাকে সাদা মাইক্রোবাসে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, দুপুরে তার সঙ্গে দেখা করতে তার এক বন্ধু এসেছিল। তাকে উপরে বসতে বলে তিনি (শামীম আহমেদ) ১ মিনিটের মধ্যে আসছেন বলে জানান। কিন্তু তিনি আর আসেননি।

শিল্পী আহমেদ বলেন, আমার সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয় বুধবার সকালে। দুপুরেও ফোন দিয়েছিল। কিন্তু আমি ধরতে পারিনি। এরপর তার অফিসের মাধ্যমে জানতে পারি, তাকে কে বা কারা জোর করে তুলে নিয়ে গেছে।

আইএফআইসি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শামীম আহমেদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে সাদা মাইক্রোতে করে তুলে নেওয়া হয়। এসময় ছয়-সাত জন মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে তুলে নেয়।

শামিম আহমেদ দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে নিজ বাড়িতেই থাকতেন। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার শাহজাহানপুরের নাভানা টাওয়ারে শিফট করার কথা ছিল বলে জানান তিনি।

নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের কাছে কোনও ফোন বা মেসেজ এসেছে কি-না প্রশ্নে শিল্পী আহমেদ বলেন, আমার কাছে এখনও কোনও ফোন আসেনি। অফিসেও কারও সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল না; নারায়ণগঞ্জে যে জমি কেনা হয়েছে সেটাও আত্মীয়দের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। কে বা কারা তুলে নিয়েছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

খুব শিগগিরি মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

আইএফআইসি ব্যাংকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ব্র্যান্ডিংয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি ওইদিন অফিসে কাউকে কিছু না জানিয়ে বের হয়েছিলেন। তারপর থেকে অনুপস্থিতির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তিনি অফিসকে কিছুই অবহিত করেননি। তবে আমরা শুনেছি তিনি অপহৃত হয়েছেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: